নিজেও কাঁদলেন, সবাইকে কাঁদালেনও! কোপা ফাইনাল দেখতে দেখতে চোখে জল, এবারও হল না। ফুটবল ঈশ্বর নিজেই কাঁদছেন, মুখ ঢাকছেন নীল সাদা জার্সিতে, সেই দৃশ্যে ভক্তকুল ব্যকুল-আকুল কুল হারানো অবস্থা! এবারও হল না। কোপায় হার।
মনকে স্বান্তনা, ‘রাশিয়ায় দেখো নেব’, এই ভাবনা কাজ করতে করতেই আকাশ ভেঙে যেন চোখে বৃষ্টি আর মাথায় বাজ পড়ল, হৃদপিণ্ডে কেমন একটা যন্ত্রণা, ‘আমি আবারও পারলাম না।
তারা হওয়ার কোনও ইচ্ছাই নেই। সব শেষ এবারের মত! এর আগেও তো হেরেছেন, এর আগেও মুর্ছে গিয়েছিলেন, থেমে যাননি তো! কিন্তু দাঁড়ি কেন এই হারের পর?
কারণ এই ৫টি করুণ সত্য-
১। মেসি ছাড়াই তো কোপাতে চিলিকে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। ফাইনালে মেসি ছিলেন, তবুও হার।
২। হারের হ্যাটট্রিক। কোপা আমেরিকা, বিশ্বকাপ আবারও কোপা আমেরিকা-পরপর তিনবার ফাইনালে গিয়ে পরাজিত সৈনিকের মত রোসারিওতে ফিরেছেন লিওলেন মেসি।
৩। মেসি ভালো, আরও ভালো, আরও আরও ভালো। অথচ আর্জেন্টিনার হার। এই মিথ ভাঙতে পারত ২০১৬ কোপা আমেরিকা। মেসিরই পেনাল্টি মিস। ২৩ বছর পর কোনও বড় প্রতিযোগিতা জেতার সুযোগ আবারও হাত ছাড়া।
৪। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন মেসির প্রতি একেবারে কট্টর! খুব অনমনীয়। সহানুভূতিশীল নয়। কোপা চলাকালীন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাজে ক্ষুব্ধ ছিলেন মেসি, কটাক্ষও করেন। পর মুহূর্তেই আবার ক্ষমাও চান। এই ডামাডোলে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আর মেসি সম্পর্ক আরও খারাপ দিকেই এগিয়ে যায়।
৫। ভক্তদের অনবরত চাপ, গণমাধ্যমের মেসি সমালোচনা। ৫ বার বিশ্বসেরা ফুটবলারের তকমা ফিফা ব্যালন ডি’অর জিতেও দেশের হয়ে হাত শূন্য মেসির।