রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পাঠানো ত্রাণবাহী কার্গো বিমান বাংলাদেশে পৌঁছেছে। ৫০ টন ত্রাণ নিয়ে বিমানটি আজ (শুক্রবার) চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, চা, চিনি, তেল, কাপড়চোপড়, ওষুধসহ ৯ ধরনের পণ্য সামগ্রী।
পরে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহীম রাহিমপুর এসব ত্রাণ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদলও উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণ হস্তান্তরের সময় ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় আমরা বাংলাদেশের প্রশংসা করি ও কৃতজ্ঞতা জানাই। কিছু ত্রাণ সামগ্রী দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। মিয়ানমারে যা হচ্ছে তা অমানবিক, নিষ্ঠুর এ হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা উচিত। অতীতেও আমরা নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলাম, এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকব।”
এসব ত্রাণসামগ্রী কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে ৫০ টন ত্রাণ নিয়ে আরেকটি ফ্লাইট ইরান থেকে বাংলাদেশে পৌঁছাবে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।
ইরানের রেড ক্রিসেন্ট ত্রাণ সংস্থার প্রধান মোর্তেজা সালিমি এর আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো সহযোগিতার আশ্বাস দেয় নি। ত্রাণগুলো বাংলাদেশে জরুরি আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা মুসলমানদের মাঝে বণ্টন করার কথাও জানান তিনি। আজকের এয়ার কার্গোতে ৫০ টন ত্রাণ সামগ্রি পাঠানো হলেও মোট ১৫০ টন সাহায্য পাঠানো হবে বলেও জানান জনাব সালিমি।