Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশকে না দিলেও মালদ্বীপকে পেঁয়াজ দিচ্ছে ভারত

onion highবাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। দেশটিতে পেঁয়াজের ঘাটতিও দেখা দিয়েছে। রাজ্য ভেদে ৬০ থেকে ১০০ টাকা দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তবে ঘাটতির অজুহাতে বাংলাদেশকে পেঁয়াজ না দিলেও মালদ্বীপকে ঠিকই দিচ্ছে ভারত। নিজের দেশে ঘাটতি থাকায় ‘আমদানি করে’ মালদ্বীপে পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশটি।

পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য ভারতের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল মালদ্বীপ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশে পেঁয়াজের সংকট থাকা সত্ত্বেও মালদ্বীপে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত। এতে পরিমাণেরও কোনো হেরফের হবে না। আগে দেশটিতে যে পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি হতো সেই পরিমাণই রপ্তানি করা হবে পেঁয়াজ।

chardike-ad

মালদ্বীপে নিযুক্ত ভারতীয় মিশন রোববার এক টুইট বার্তায় জানায়, ‘আমরা আমাদের বন্ধু মালদ্বীপকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, টানা দাম বৃদ্ধি ও দেশে এক লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও মালদ্বীপে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চায় ভারত।’

ভারতে রান্নার নিত্য অনুষঙ্গ পেঁয়াজের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। চাহিদা মেটাতে আফগানিস্তান, তুরস্ক, ইরান ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় ভারতকে।

সূত্র বলছে, শুধু পেঁয়াজই নয়, সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মালদ্বীপে রপ্তানি অব্যাহত রাখবে ভারত। চাহিদা মেটাতে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের খাদ্যমন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান।

সম্প্রতি ভারত সফরে বাংলাদেশে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের বিষয়ে অনেকটা কৌতুকের ছলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের একটা সমস্যা হয়েছে…আপনারা পেঁয়াজ পাঠাচ্ছেন না। তাই আমি পেঁয়াজ খাওয়াই ছেড়ে দিয়েছে। রন্ধনশালার কর্মীদের তরকারিতে পেঁয়াজ না দিতে বলেছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো পণ্য রফতানি বন্ধ করার আগে জানালে বাংলাদেশ পণ্য সংকট মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে।’

২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বর্তমানে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।