Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়ের রেকর্ড বাংলাদেশের

sa-games-goldপুরুষ ক্রিকেটের ফাইনালে শ্রীলংকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ জিতেছে এসএ গেমসের ১৯তম স্বর্ণ। শান্ত-সৌম্য এই স্বর্ণজয়ের মধ্যে দিয়ে এসএ গেমসে সাফল্যে নতুন রেকর্ড করলো বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার এই গেমসে আগে বাংলাদেশের এক আসরে সর্বোচ্চ স্বর্ণ ছিল ১৮ টি, ২০১০ সালে ঢাকায়। এবার সেই অর্জন ছাড়িয়ে গেলো লাল-সবুজ জার্সিধারী ক্রীড়াবীদরা।

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কাঠমান্ডু ও পোখারা এসএ গেমসে যে ১৯ স্বর্ণ পদক জিতেছে তার মধ্যে সর্বোচ্চ ১০টি আরচারি থেকে। তীরন্দাজদের ১০ ইভেন্টের সবক’টি স্বর্ণই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩টি স্বর্ণ এসেছে কারাতে থেকে। দুটি করে স্বর্ণ এসেছে ক্রিকেট ও ভারোত্তোলন থেকে এবং একটি করে তায়কোয়ানদো ও ফেন্সিংয়ে।

chardike-ad

sa-games-cricketদক্ষিণ এশিয়ান গেমসের এটি তেরতম আসর। ১৯৮৪ সালে নেপালের কাঠমান্ডু থেকে মাত্র ৫ ডিসিপ্লিন (অ্যাথলেটিকস, ফুটবল, বক্সিং, সাঁতার ও ভারোত্তোলন) নিয়ে শুরু হয়েছিল এই গেমস। শুরুতে নাম ছিল সাফ (সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন) গেমস। নতুন নাম এসএ (সাউথ এশিয়ান) গেমস।

প্রথম আসরে বাংলাদেশ পেয়েছিল ২টি স্বর্ণসহ ২৩টি পদক। পরের বছরই আয়োজক হয় ঢাকা। বাংলাদেশের অর্জন ৯ স্বর্ণসহ ৬৪ পদক। বাংলাদেশ তিনবার এই গেমস আয়োজন করে ১৯৮৫, ১৯৯৩ ও ২০১০ সালে। তিনবার স্বর্ণ পদক ছিল ৯, ১১ ও ১৮ টি।

sa-games২০১০ সালে সর্বশেষ আয়োজক হয়ে বাংলাদেশ ১৮ স্বর্ণসহ ৯৭টি পদক জিতেছিল। রৌপ্য ছিল ২৩ টি ও ব্রোঞ্জ ৫৬ টি। এবার সেই অর্জনকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।

এবারের স্বর্ণের ঝুলিটা বড় হওয়ার প্রধান কারণ আরচারি। গেমসের ১০ ইভেন্টের ১০টিতেই বাংলাদেশের আরচাররা স্বর্ণ জিতেছেন। এই ডিসিপ্লিনে সাফল্য আসবে সেটা অনুমিতই ছিল।

sa-gamesকারণ, গত আসরে ১০ স্বর্ণ জেতা ভারত এবার নেই আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ থাকার কারণে। বাংলাদেশ সেই সুবিধাটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে। সবগুলো স্বর্ণ জিতে বাংলাদেশের নতুন রেকর্ডে বড় ভূমিকা রাখেন আরচাররা।

আগের ১২ আসরে বাংলাদেশের পদক

সাল আয়োজক স্বর্ণ রৌপ্য ব্রোঞ্জ মোট
১৯৮৪ কাঠমান্ডু ১৩ ২৩
১৯৮৫ ঢাকা ১৭ ৩৮ ৬৪
১৯৮৭ কলকাতা ২০ ৩১ ৫৪
১৯৮৯ ইসলামাবাদ ১২ ২৪ ৩৭
১৯৯১ কলম্বো ২৮ ৪০
১৯৯৩ ঢাকা ১১ ১৯ ৩২ ৬২
১৯৯৫ মাদ্রাজ ১৭ ৩৪ ৫৮
১৯৯৯ কাঠমান্ডু ১০ ৩৫ ৪৭
২০০৪ ইসলামাবাদ ১৩ ২৪ ৪০
২০০৬ কলম্বো ১৫ ৩৪ ৫২
২০১০ ঢাকা ১৮ ২৩ ৫৬ ৯৭
২০১৬ গুয়াহাটি-শিলং ১৫ ৫৬ ৭৫