যে সকল মুসলিম খেলোয়াড় খেলার মাঠেও ধর্ম পালনে সর্বদা প্রস্তত তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী তারকা মিডফিল্ডার মেসুত ওজিল। ফুটবল বিশ্বের অন্যতম নম্র-ভদ্র খেলোয়াড় হিসেবেও বেশ পরিচিত তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থীদের পাশে সবসময়ই পাওয়া যায় ওজিলকে। এবার নিজের সেই মহত্বের প্রমান আরও একবার দিলেন তিনি। প্রায় এক হাজার শিশুর অপারেশনের দায়িত্ব নিচ্ছেন, সেই সঙ্গে আরও এক লক্ষাধিক মানুষকে খাওয়ানোরও ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন এই আর্সেনাল তারকা।
ছয় বছর আগে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে আর্সেনালে যোগ দেওয়ার পর উত্তর লন্ডনে একটি বাড়ি কেনেন ওজিল। সেই বাড়ির দেয়ালেই তার মা মিসেস গুলিজার ওজিল একটি বার্তা লিখে দেন। যেখানে লেখা ছিল, ‘মেসুত, এই পৃথিবীতে তুমি কেবল একজন অতিথি। এই কথাটি কোনোদিন ভুলে যেও না।’
‘আল্লাহ তোমাকে অন্যের থেকে একটু আলাদা করে সৃষ্টি করেছেন। কিন্ত সেটা শুধু তোমার নিজের ভালোর জন্য নয়। যদি তুমি তোমার সম্পদ গরিবদের সাথে ভাগ না করো তাহলে তুমি আমার ছেলে নও!’
মায়ের সেই কথাগুলো ঠিকই মনে রেখেছেন ওজিল। যখনই সুযোগ হয় গরিবদের পাশে দাঁড়ান তিনি। এবার নিজের বিয়ের দিন সাবেক মিস তুর্কি এমাইন গালসকে ওজিল নিজেই জানান, তিনি প্রায় এক হাজার শিশুর কিডনির অপারেশনে সহায়তা করতে চান।
ওজিলের সামাজিক কর্মকাণ্ড দেখাশোনা করা এরকুট জানিয়েছেন, ‘গত বিশ্বকাপের (রাশিয়া বিশ্বকাপ) সময় সে (ওজিল) আমাকে বলে, এবার আরও বেশি কিছু করতে হবে। চলো এবার সারা বিশ্বের কয়েক হাজার শিশুর অপারেশনের দায়িত্ব নিয়ে ফেলি।’
এরকুট আরও জানিয়েছেন, ‘আমি তার কথায় খুব অবাক হয়েছিলাম। আর বলেছিলাম এর জন্য কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন ইউরো খরচ হবে। জবাবে সে আমাকে জানিয়েছিল, আমি যদি এখনই না খরচ করি তাহলে আর কখন খরচ করব। এত টাকা দিয়ে আমি কিই বা করতে পারব বলো।’
ওজিলের দায়িত্বশীলতার বিষয়ে আগেই অবগত আছে গোটা ফুটবল বিশ্ব। এই যেমন- রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে অর্জিত আয় গাজার শিশুদের জন্য দান হিসেবে দিয়ে দিয়েছিলেন ওজিল।