সিউল, ১৮ মে ২০১৪:
চালের আমদানি বাজার উদার করতে দক্ষিণ কোরিয়া যথোচিত পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রধান রবার্তো আজেভেদো। চাল আমদানি বাজারে কোটা ব্যবস্থার মেয়াদ শেষের পর দেশটিকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সিউলে দুইদিনের সফরে গত শুক্রবার এ আহ্বান জানান তিনি। খবর রয়টার্সের।সফরের শেষ দিন শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি চাল আমদানিতে বর্তমান কোটা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা অথবা আমদানিতে উচ্চশুল্ক আরোপ করে চালের বাজার উদার রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থানীয়ভাবে চালের দাম বেশি। দেশটি আশঙ্কা করছে, এ বাজার উদার করলে তা উত্পাদকদের ওপর প্রতিযোগিতামূলক চাপ তৈরি করবে। যদিও চাল উত্পাদনে দক্ষিণ কোরিয়া স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং তাদের চাল আমদানির কোনো প্রয়োজন পড়ে না। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি বাড়ায় এখানে চালের চাহিদাও কমে আসছে।
ডব্লিউটিওর কোটা অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে ১০ বছরের জন্য নিজেদের বার্ষিক চাহিদার ৪ শতাংশ চাল আমদানিতে সম্মত হয় দক্ষিণ কোরিয়া। ২০০৪ সালে আমদানিসীমা ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়িয়ে তা আরো ১০ বছরের জন্য বর্ধিত করা হয়। সে অনুযায়ী চলতি বছরই কোটা শেষ হতে যাচ্ছে কোরিয়ার। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের চাল শিল্পকে রক্ষার ধারা কীভাবে ধরে রাখা যায়, তা নিয়ে ভাবছে দেশটি। আমদানি কোটার সময়সীমা আরো বাড়ানোর পরিবর্তে এ বাজার উদার করার দিকেই তাদের মত বেশি।
দক্ষিণ কোরিয়া যদি চালের আমদানি বাজার উদার করে, তাহলে প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে চাল আমদানিতে বাধ্যবাধকতা থাকবে না তাদের। এছাড়া উচ্চশুল্ক আরোপ করে আমদানিও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে তারা। সূত্রঃ বণিকবার্তা