সিউল, ১ জুন ২০১৪:
ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সপ্তম আইপিএলের ফাইনালে আজ মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। তিন বছরের মধ্যে কলকাতার এটি দ্বিতীয় ফাইনাল, পক্ষান্তরে সপ্তমবারের চেষ্টায় পাঞ্জাবের প্রথম ফাইনাল। ফাইনালটি হতে পারে টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং ডিপার্টমেন্টের বিপক্ষে সেরা ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের লড়াই! নারাইন-সাকিব-চাওলা-যাদব-মরকেলদের বোলিং সবার আগে কলকাতাকে নিয়ে গেছে ফাইনালে। পক্ষান্তরে ম্যাঙ্ওয়েল-মিলার-শেওয়াগদের ব্যাটিং পাঞ্জাবকে প্রথম রাউন্ডে প্রায় অজেয় করে তুলেছিল। ব্যাটিং দাপটেই তারা ফাইনালে পা রেখেছে।
প্রথম রাউন্ডে পাঞ্জাবকে এক সময় ম্যাঙ্ওয়েলনির্ভর দল মনে হচ্ছিল! শুরুর দিকে তিনি চারটি সেঞ্চুরি মিস করেন, কিন্তু দল ছিল টানা জয়ের বৃত্তে। কিন্তু শেষ কয়েকটি ম্যাচে ম্যাঙ্ওয়েল যেন নিজের ছায়া। ফলে পাঞ্জাবের পারফরম্যান্সও অস্বস্তির। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে বুড়ো বীরেন্দার শেওয়াগের ৫৮ বলে ১২২ রানের ইনিংস পাঞ্জাবকে তুলে দিয়েছে ফাইনালে। তবে দলটির বোলিং বিভাগে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বাঁ-হাতি স্পিনার অক্ষয় প্যাটেল। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রতিপক্ষের রানের চাকা আটকে দিচ্ছেন এ তরুণ স্পিনার। ম্যাঙ্ওয়েলের মতো অবস্থা ২১ বছরের পেসার সন্দ্বীপ শর্মার। তারা একসঙ্গে জ্বলে উঠলে ম্যাচটি কলকাতার জন্য কঠিন হয়ে যেতে পারে।
সাবেক চ্যাম্পিয়ন কলকাতারা শুরুটা ভালো ছিল না। কিন্তু দেশের মাটিতে ফেরার পর দলটি কোনো ম্যাচ হারেনি! টানা ৯ ম্যাচ জিতে তারা প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পা রাখে। শুরুর দিকে একাদশ সাজাতেই সমস্যা হচ্ছিল। যতই সময় গড়িয়েছে, তাদের ক্রিকেটাররা ছন্দে ফিরেছেন। ওপেনিংয়ে ফিরে রবিন উথাপ্পা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানের মালিক। প্রয়োজনের সময়ে দারুণ কার্যকর সাকিব আল হাসান, ইউসুফ পাঠান তরুণ সুরাইয়াকুমার যাদব। বল হাতে সুনীল নারাইন সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। তাদের বোলিং আক্রমণটা বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ। ফলে দারুণ একটি ফাইনালই মঞ্চায়িত হতে পারে চিন্নাস্বামীতে।