Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বছরের শেষার্ধে অনিশ্চয়তায় থাকবে দ. কোরিয়ার শিল্প খাত

সিউল, ১১ জুন ২০১৪:

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং মুদ্রার বিনিময় হারে শ্লথগতিতে চলতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি ধীরে প্রসারিত হবে। সে সঙ্গে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে দেশটির প্রথম সারির শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘমেয়াদে অনিশ্চয়তায় থাকবে। স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব ফিন্যান্স (কেআইএফ) সম্প্রতি এ কথা জানিয়েছে। খবর ইয়োনহাপের।

chardike-ad

কেআইএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং বিকাশমান দেশগুলোর অর্থনৈতিক বাজার ঘিরে বর্তমানে যে উদ্বেগ রয়েছে, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতিতে।
ফেডারেশন অব কোরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃক আয়োজিত এক সভায় কেআইএফ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে যদিও বলা হয়েছে ২০১৪তে প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে; তবে সংশোধিত জাতীয় নিরীক্ষা মান অনুসরণ করলে তা দশমিক ১ শতাংশ কমে যেতে পারে।

18-3গত ১৬ এপ্রিল ফেরিডুবির ঘটনায় ৩০০ জনের প্রাণহানি ঘটে, যার বেশির ভাগই ছিল স্কুলের শিক্ষার্থী। এ ঘটনা দেশটির ভোক্তা ব্যয়ে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে, কমেছে খুচরা বিক্রি।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, চলতি বছর অভ্যন্তরীণ ভোক্তা চাহিদা ২ দশমিক ৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে এবং মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে ২ শতাংশ।

শিল্প, গবেষণা ও ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানগুলো ধারণা করছে, বছরের বাকি সময় ইস্পাত শিল্পকে প্রবৃদ্ধির গতি পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হবে। অন্যদিকে ইলেকট্রনিক্স, গাড়ি, জাহাজ এবং নির্মাণ শিল্প মিস্ত্র অবস্থায় থাকবে। তবে জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে পেট্রোকেমিক্যাল খাত প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভালো অবস্থায় থাকবে।

উরি, এসকে এবং শিনহান ফিন্যান্সিয়ালের মতো সিকিউরিটিজ ফার্মগুলো জানিয়েছে, জাহাজ ও নির্মাণ শিল্পের ধীরগতির কারণে ইস্পাতের চাহিদা কমেছে। এর মধ্যে কোরীয় মুদ্রার শক্ত অবস্থানের কারণে রফতানি কমে গিয়ে দেশের ইস্পাত শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়া মুদ্রা বিনিময়ের হার এবং কঠিন প্রতিযোগিতা আগামী মাসে ইলেকট্রনিক ও গাড়ি নির্মাণ খাতে প্রভাব ফেলতে পারে। তারা আরো জানায়, যদিও এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাদের নতুন মডেলের গাড়ি, পরিধানযোগ্য ডিভাইস এবং আলট্রা হাই ডেফিনেশন টিভির চাহিদার জন্য লাভবান হবে। সিকিউরিটিজ ফার্মগুলো বলেছে, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং চীনের বাজারে ইলেকট্রনিক পণ্য ও গাড়ির চাহিদা বাড়বে বলে আশা করা যায়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন জাহাজ তৈরি, নির্মাণ শিল্প, সমুদ্র পরিকল্পনা ও নতুন আবাসন খাত প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া উন্নত অর্থনীতির দেশগুলো থেকে চাহিদা বাড়ার কারণে ভালো অবস্থানে থাকবে পেট্রোকেমিক্যাল।

দি কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক পলিসি জানিয়েছে, আমেরিকা ও জার্মানির অগ্রসরমূলক অর্থনীতির হাত ধরে ২০১৪-এর প্রথমার্ধের মতো শেষার্ধেও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়বে।

প্রণোদনা কর্মসূচি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ধীরে ধীরে সরে আসা এবং শ্লথগতির চীনা প্রবৃদ্ধি কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রঃ বণিকবার্তা