Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ সেপ্টেম্বরে শুরু হবে : যোগাযোগ মন্ত্রী

সিউল, ১৩ জুন ২০১৪:

যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উড়াল সেতু বা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে। প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হবে।

chardike-ad

তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হলেই এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। প্রথম ধাপে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

elevated+expresswayসেতু বিভাগ ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-১৮ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারুণ, সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ রাজউক ও সড়ক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে শুরু করে মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে কুতুবখালি পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এবং র‌্যামসহ প্রায় ৪০ কিলোমিটার উড়াল সেতু বা সড়ক নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদেরকে এই প্রথমবারের মত সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ৪ পর্যায়ে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পাদন করতে হবে। একই সাথে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পে প্লট বা ফ্ল্যাটসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রী সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের উল্লেখ করে বলেন, প্রথম পর্যায়ে শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে শুরু করে মহাখালী হয়ে তেজগাঁও পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার উড়াল সেতুর কাজ করা হবে। এতে প্রায় ১৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী ২৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ২০ কোটি টাকার চেক বিতরণ করেন। পরবর্তীতে আরো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মাঝে পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করা হবে।

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, চলতি মাসেই পদ্মা সেতুর মূল অংশের নির্মাণ কাজের জন্য চায়না ব্রিজ কোম্পানীর সাথে চুক্তি করা হবে। ৪টি প্রতিষ্ঠানকে যাচাই-বাছাই করে কাজ দেয়া হয়েছে। অচিরেই মূল সেতুর কাজ শুরু করা হবে। জুলাই মাসের শেষ দিকে পুরোদমে কাজ আরম্ভ করা হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরী যানজট মুক্ত রাখার জন্য সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মেট্রোরেলের জন্য জাইকা ১৬ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে। ২০১৯ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের কাজ শেষ করা হবে।

জেলা প্রশাসক শেখ ইউসুফ হারুণ বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ২শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য রাজউকের উত্তরা তৃতীয় ফেজ সংলগ্ন বড় কাকর ও বাউনিয়া মৌজায় ৪০ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেতু বিভাগ ভূমি উন্নয়নসহ ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যায়ক্রমে প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ প্রদান করবে।