সিউল, ১৬ জুন ২০১৪:
রাজধানীতে পাতাল রেল এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেন সড়ককে দ্বিতল সড়কে উন্নীত করতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।রোববার রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে মিট দ্যা প্রেসে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, চলতি (২০১৩-১৪) অর্থবছরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২০৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে এক লাখ ১৯ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ৬২ হাজার কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্য ৫৩ হাজার ৩০৯ কোটি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
তিনি জানান, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন ব্যয় হয়েছে ৩৯ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা যা সংশোধিত এডিবির ৬৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা যা ওই বছরের মোট এডিবির ৬৯ শতাংশ। জুন নাগাদ সংশোধিত এডিবির বাকী কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। চলতি অর্থবছরে সংশোধিত এডিবির পরিমাণ রয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে ৮০ হাজার কোটি টাকা এডিবিতে বরাদ্দ রয়েছে। এডিবির এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে প্রায় আড়াই লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আর ২০১৯ সাল নাগাদ দেশে ১৯ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
মোস্তফা কামাল বলেন, গত ৬ বছরে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় থেকে একনেকে যেসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়নের ফলে অর্থনীতিতে কি গতিবেগ সৃষ্টি হলো, কত কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা জিডিপিতে এর অবদান কি-এর মূল্যায়ন যাচাই করে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। জাতীয় প্রত্যাশা পূরণে এ সব প্রকল্প অবদান রাখতে পারছে-কিনা এরও মূল্যায়ন এখানে থাকবে। তিনি জানান, আগামীতে প্রতিবছর এ ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘ সরকারের বিভিন্ন কাজ করার জন্য সোনালী ব্যাংক বা কৃষির জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ (বিকেবি) নির্দিষ্ট কতিপয় অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য কয়েকটি ব্যাংক রেখে রাষ্ট্রায়াত্ত বাকী ব্যাংকগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া উত্তম। কেননা প্রতিবছর এ সব ব্যাংকের জন্য ৩/৪ হাজার কোটি টাকা সরকারকে পুনঃঅর্থায়ন করতে হচ্ছে। আমি মনে করি এটি অন্যায়।’ এক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংকের শেয়ার পুঁজিবাজারে ছাড়ার অর্থমন্ত্রীর ঘোষণাকে তিনি ভাল পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন।