Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ তিন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন

২৫ জুন ২০১৪:

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে বন্দর নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে চট্টগ্রামে খাল খনন প্রকল্পসহ ৫০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে যেত সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে এই বন্দর নগরীর বিদ্যমান খালগুলো সংস্কারের পাশাপাশি কিছু নতুন খালও খনন করা হবে। এছাড়া পানি সংরক্ষণে নতুন পুকুর খনন করা হবে।

chardike-ad

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার নগরীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

24062014_009_BD_CABINETপরিকল্পনা মন্ত্রী এ এইচ এম মোস্তফা কামাল বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, একনেক ৫০৩.৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে। তিনি বলেন, এই মোট অর্থের ৪২৭.১২ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার এবং অবশিষ্ট ৭৬.৭৪ কোটি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তহবিল থেকে জোগান দেয়া হবে।

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ভূঁইয়া শফিকুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ২৮৯.৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত এই খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এ প্রকল্পে ২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬৫ মিটার প্রশস্ত খাল খনন করা হবে। এটি পরিচ্ছন্ন রাখতে এর দু’পাশে যানবাহন চলাচলে ২০ ফুট চওড়া রাস্তা নির্মিত হবে। পরবর্তীতে এই প্রকল্পের ব্যয় আরো বাড়তে পারে। কারণ প্রকল্পে খালের দু’দিকে রাস্তা আরো প্রশস্ত করার ব্যবস্থা থাকবে।

বৈঠকে ১২৬.৮৭ কোটি টাকায় পাগলা-জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ-আশকান্দি মহাসড়কের কুশিয়ারা নদীতে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে ৭০২.৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সুনামগঞ্জের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার কমে যাওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত ও নিরাপদ হবে। এই সেতুতে টোলের ব্যবস্থা থাকবে। এতে এটি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রকল্প।

বৈঠকে ২০১৬ সালের মধ্যে ৮৭.৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি ক্রয় প্রকল্পেরও অনুমোদন দেয়া হয়। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এদিকে খুলনা-মংলা রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে মংলা বন্দরে বছরে কার্গো হ্যান্ডলিং ১৭ শতাংশ বেড়ে যাবে। এ সঙ্গে পানগাঁওয়ে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার বন্দর পুরোপুরি চালু হলে সে সময় মংলা বন্দর থেকে কন্টেইনার পরিবহন করা সম্ভব হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক চলতি অর্থবছরে ২৬টি ১ লাখ ২২ হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ২১২ উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করে। এই মোট অর্থের মধ্যে ৬৩ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা সরকারি কোষাগার এবং ৫৪ হাজার ৩২০ কোটি প্রকল্প সহায়তা থেকে যোগান দেয়া হয়।

মন্ত্রীবর্গ, প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।