অস্ট্রেলিয়াকে পাত্তা দিল না পাকিস্তান

 

chardike-ad

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান ম্যাচটা জিতল ১৪১ বল আর ৯ উইকেট হাতে রেখে দিয়ে। দাপট দেখানো যে জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতাও এনেছে মোহম্মদ রিজওয়ানের দল।

অ্যাডিলেড ওভারের ম্যাচটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণই নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে আগের ম্যাচে জয়ের পথে পাকিস্তানকে ২০৩ রানে অলআউট করে দিয়েছিলেন মিচেল স্টার্করা।

হয়তো এ কারণেই আজ ১৬৩ রানের পুঁজি নিয়েও কিছুটা হলেও আশাবাদী ছিল জশ ইংলিসের দল। কিন্তু আবদুল্লাহ শফিক ও সাইম আইয়ুবের উদ্বোধনী জুটিই অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়।

দুজনের শুরুটা ছিল সতর্ক। দশম ওভারের শেষ দুই বলে জশ হ্যাজলউডকে টানা দুই চার মেরে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের শুরুটা করেন শফিক।

তবে ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান নন, পাকিস্তানের রানের গতি বাড়ানোর মূল কাজটি করেন আইয়ুব।

এগারতম ওভারে প্যাট কামিন্সকে মারেন ছক্কা। এর পরের ওভারে মিচেল স্টার্ককে মারেন এক ছক্কা ও দুই চার। এর মধ্যে ফাইন লেগ দিয়ে ফ্লিকে মারা ছয়টি চোখে লেগে থাকতে বাধ্য। দিনের সেরা শট হিসেবে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার মতো।

আইয়ুব সেখানেই থামেননি, এরপর তাঁর ব্যাটে ছয় হজম করতে হয়েছে অ্যারন হার্ডি ও জাম্পাকেও। দুজনের বলেই দুটি করে ছয় মেরেছেন মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা এই বাঁহাতি।

আইয়ুবের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে ১০০ রান উঠে যায় ১৬তম ওভারেই। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তানের যে কোনো উইকেটে এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি জুটি। এর আগে ১৯৮৪–৮৫ মৌসুমে মহসিন খান–মুদাসসর নজররা এমসিজিতে গড়েছিলেন আগের জুটিটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া: ৩৫ ওভারে ১৬৩ (স্মিথ ৩৫, শর্ট ১৯, জাম্পা ১৮, ইংলিস ১৮; রউফ ৫/২৯, আফ্রিদি ৩/২৬)।
পাকিস্তান: ২৬.৩ ওভারে ১৬৯/১ (সাইম ৮২, শফিক ৬৪*, বাবর ১৫*; জাম্পা ১/৪৪)।
ফল: পাকিস্তান ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: হারিস রউফ।