দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট তদন্তকারীদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেবেন না

 

chardike-ad

দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্নীতি বিরোধী কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কোনও উত্তর দেবেন না দেশটির অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) তার আইনজীবীরা এ কথা বলেছেন। গত ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করাকে ঘিরে আটক হয়েছেন তিনি। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

বুধবার নিজ বাড়ি থেকে আটক হন ইউন। পরে তাকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত কার্যালয়ে হেফাজতে নেওয়া হয়। সেখানে ১০ ঘণ্টার বেশি সময়ের জিজ্ঞাসাবাদে আইনি অধিকার অনুযায়ী পুরো সময় নীরব থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

খুব দ্রুতই তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করার চেষ্টা করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

সামরিক আইন জারি করে দেশদ্রোহের অপরাধ করেছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে ইউনের বিরুদ্ধে। পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দুর্নীতি বিরোধী কর্মকর্তারা এই তদন্ত পরিচালনা করছেন। আটকের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদলতের আদেশ পেলে তাকে গ্রেফতার দেখাতে পারবে কর্তৃপক্ষ। নইলে ৪৮ ঘণ্টা পর ইউনকে ছেড়ে দিতে হবে তাদের।

এদিকে, পুরো তদন্ত প্রক্রিয়াটিকেই অবৈধ বলে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন ইউনের আইনজীবীরা। সিউল ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের পরোয়ানা বলে ইউনকে আটক করা হয়েছে। এই পরোয়ানাকে অগ্রহণযোগ্য বলে দাবি করে ইউনের মুক্তির জন্য সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন তারা।

এদিকে, অভিশংসন মামলায় সাংবিধানিক আদালতের শুনানিতে হাজির হননি ইউন। তার আইনজীবী সেওক ডং-হ্যেওনের দাবি, নিরাপত্তা শঙ্কায় আদালতে উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।

আদালত প্রাঙ্গণে ইউনের মুক্তির দাবিতে তার হাজারো সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেও ব্যানার উড়িয়ে ও স্লোগান দিয়ে অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন তারা।

আদলত থেকে গ্রেফতারের অনুমতি দিলে ইউনকে ২০ দিন পর্যন্ত হেফাজতে রাখার অনুমতি পাবেন দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তারা। এসময় মামলাটি পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ফৌজদারি আইনের একজন বিশিষ্ট অ্যাটর্নি পার্ক সুং বে বলেছেন, দেশদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য যদি প্রসিকিউটররা অভিযোগ দায়ের করেন, তবে সাংবিধানিক আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ছমাস আটক থাকতে পারেন ইউন। আইন অনুযায়ী, অভিযোগ প্রমাণিত হলে, বিদ্রোহী নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা প্রাণদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।