রুনা খান, মডেল ও অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে তিনি একজন সাহসী নারী। সমাজের আর পাঁচটা নারীর মতো তিনিও যুদ্ধ করেই সমাজে টিকে আছেন।
বর্তমানে দেশ এক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষকরে নারীদের ওপর যে অত্যাচার, নিপীড়ন চলছে, তা সবাইকে হতবাক করে দিয়েছে। দেশের আর পাঁচটা সচেতন মানুষের মতো রুনা খানও আতঙ্কিত এই পরিস্থিতিতে।
এই বিষয়ে তিনি দেশের গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের দেশে নারীদের প্রতি এত সহিংস আচরণ, এত অত্যাচার করা হয়, সেটা পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়ভাবেই। নারীদের প্রতি এই হিংস্র আচরণ খুব ভয়াবহ ব্যাপার।’
একজন নারী হিসেবে এই দেশে আপনি কতটুকু নিরাপর বোধ করেন? এই প্রশ্নের উত্তরে রুনা খান একটু ভেবে বলেন, ‘আসলে সত্যি কথা বললে, কখনোই খুব বেশি নিরাপদ বোধ করি না। কয়েকদিন আগেই আমি কথা প্রসঙ্গে বলছিলাম, একটু রাত হলে এদেশে বাইরে বের হওয়ার জন্য একজন পুরুষের সঙ্গে অন্য কাওকে লাগে না, কিন্তু একজন নারীর বাইরে বেরোতে হলে সঙ্গে কাওকে না কাওকে প্রয়োজন। অন্য নারীরা নিরাপদ বোধ করেন কিনা জানি না, অন্তত আমি আমি নিজে নিরাপদ বোধ করিনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রতিটি নারীর স্বনির্ভর হওয়া উচিত। অর্থনৈতিকভাবে কারও ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। কিন্তু হ্যা, নারীর অধিকার আদায়ের জন্য শুধু স্বনির্ভর হলেই হয় না। আপনি যখন রাস্তায় বের হবেন, তখন আপনি কতটা নিরাপদ, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। এখানে শুধু নারীদের সচেতন হয়ে লাভ নেই, সমাজের পুরষদেরও নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে, নারীদের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।’