‘আমি কখনোই নিজেকে তারকা মনে করি না। আমার জীবনযাপন খুবই সাধারণ। বাসায় আমি একদম সাধারণ হয়ে থাকি। আর দশটা মেয়ে যেভাবে সংসার করে, আমিও তা–ই। সারাক্ষণ কাজের মধ্যে থাকি। মেয়েকে দেখাশোনা, তার জন্য টিফিন তৈরি, এটা–ওটা নিয়েই পরিবারের পেছনে সব সময় যায়। সেভাবে নিজের পছন্দে বাসা খুঁজছি। এতে পরিবারের অন্যরাও সহায়তা করে। কোনো কাজই আমার অপছন্দের নয়। বরং সব কাজ নিজের পছন্দে করতেই ভালোবাসি।’
জীবনকে যাপন
একটা সময় মাসে ৩০ দিন শুটিং করতেন সারিকা। কখনো দু-তিন দিন শুটিং না থাকলেও সেই দিনটাও কোনো অভিনয়শিল্পীকে ফোন দিয়ে শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে যেতেন। এর মধ্যেই উপলব্ধি করেন, পরিবার ও নিজেকে সময় দেওয়া হচ্ছে না। সন্তান জন্মের পর সেটা আরও বেশি অনুধাবন করেন। একসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেও দূরে সরে যান। ‘একটা সময় বুঝতে শুরু করলাম, যে সময় চলে যাচ্ছে, সেটা আর ফিরে পাব না। সন্তানকে সময় দেওয়া উচিত। সময়ের মিস ইউজ করছিলাম। সেই থেকে কাজ কমিয়েছি। এখন আমার আর বাইরের কোনো জগৎ নেই। পরিবার নিয়েই জীবনকে যাপন করছি।’
সম্প্রতি চারদিকে নানা ঘটনা ঘটছে। সেগুলো ভাবনায় ফেলে দেয় এই অভিনেত্রীকে। তাঁকে ভাবায়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কি নিরাপদ একটি দেশ গড়ে উঠছে? ‘আমাদের এত সুন্দর একটা দেশ। কিন্তু দুঃখ লাগে, আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা কী রেখে যাচ্ছি! নতুনেরা এসে কী শিখবে? সে কতটা নিরাপদে জীবন যাপন করবে? সেই নিশ্চয়তা কি আমরা দিতে পারছি? একটা প্রজন্মকে কি আমরা ভবিষ্যতের সুন্দর আশার নিশ্চয়তা দিতে পারি না! আমাদের ব্যর্থতা কোথায়, জানি না। তবে চাইলে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি দেশ দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে পারি। আমি আশাবাদী। ’