প্রায় ২৫০ যাত্রী নিয়ে মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের মোড়ে পদ্মা নদীর মাঝখানে এমভি পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে লঞ্চটি ডুবে যায়। মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল জানান, এ পর্যন্ত ৪৪ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাচঁজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি যাত্রীরা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক নারায়ণগঞ্জ থেকে দুর্ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে।
এছাড়া নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। লঞ্চডুবির খবর পেয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়ভাবে ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত স্থানের আশেপাশে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
লঞ্চ মালিক সমিতির স্থানীয় নেতা মো. ইকবাল হোসেন জানান, কাওড়াকান্দি থেকে প্রায় ২৫০ যাত্রী নিয়ে পিনাক-৬ লঞ্চটি মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে লঞ্চটি ডুবে যায়। তবে উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা দাবি করেছেন, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণেই উত্তাল পদ্মায় লঞ্চটি তলিয়ে যায়। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চাপ থাকায় লঞ্চটিতে অনেক বেশি যাত্রী ছিল। বিআইডব্লিউটিসির মাওয়া ঘাটের ম্যানেজার সিরাজুল হক জানান, গতকার রোববার থেকে পদ্মা নদী উত্তাল রয়েছে। এ কারণে ডাম্প ফেরি ও স্পিডবোট কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়।