Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ধানের জাত উদ্ভাবনে বাংলাদেশ-কোরিয়ার যৌথ গবেষণা

শীত সহনশীল ধানের জাতসহ বিভিন্ন লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে কোরিয়ার সহায়তায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে ব্রি কাজ করছে।  এ লক্ষ্যে দু’দেশের বিজ্ঞানীদের যৌথ প্রচেষ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলে চাষাবাদের উপযোগী তীব্র শীত সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাব সুবিধাসহ বেশক’টি যন্ত্র উন্নয়নের কাজে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এসব যন্ত্রের মধ্যে আছে, রাইস মিল, হস্তচালিত বাহক যন্ত্র, সরাসরি বীজবপন যন্ত্র ও শস্য কাটার যন্ত্র। বিধর খামার যন্ত্রপাতি ও ফলনোত্তর প্রযুক্তি। (এফএমপিএইচটি) বিভাগে একটি আধুনিক গবেষণা ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ কাজও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং এর মাধ্যমে প্রায়োগিক গবেষণার ক্ষেত্রে দু’দেশের সহযোগিতার এক নতুন যুগের সূচনায় গাজীপুরে কোরিয়ান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (কোইকা) এর উদ্যোগে ব্রির এফএমপিএইচটি বিভাগের প্রশিক্ষণ কক্ষে দু’দেশের সহযোগিতায় গবেষণা অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।

downloadগাজীপুরেও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সম্মেলন কক্ষে বুধবার সক্ষমতা উন্নয়নে কোরিয়া-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বেও শীত সহনশীল ধানের জাত ও নতুন কৃষি বিষয়ক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন গবেষণার বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রি’র পরিচালক (প্রশাসন) ড. মো. শাহজাহান কবীর, বিধর এফএমপিএইচটি বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. দুরুল হুদা, কোরিয়ার কিয়ুংপুক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হুয়াং।

chardike-ad

সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী ও গবেষকরা সাংবাদিকদের জানান, নতুন গবেষণা ওয়ার্কশপের মাধ্যমে খামার যন্ত্রপাতির গবেষণা, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে ব্রি’র গবেষক ও কলাকুশলীদের নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে যেসব মেশিনারি উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, ধান রোপণ, মাড়াই ও মিলিং যন্ত্র উন্নয়ন। ইতোমধ্যে ব্রি’র বিজ্ঞানীসহ সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তারা কোরিয়া থেকে এ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। এ নিয়ে আলাপকালে ড. হুয়াং জানান, ধান চাষাবাদ তথা কৃষির যান্ত্রিকায়ন এখন সময়ের দাবি। আর এ দাবি পূূূরণের লক্ষ্যেই গত প্রায় দু’বছরের বেশি সময় ধরে কোরিয়া এবং বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা যৌথ উদ্যোগে কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করা যায়, এর ফলে এদেশে খামার যন্ত্রপাতি উন্নয়নের কাজ আরো জোরদার হবে এবং দেশের কৃষক ভাইদের চাহিদা মেটাতে শীত সহনশীল জাত উদ্ভাবনের কাজ ত্বরান্বিত হবে। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি জানান, ওই জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে প্রায় দু’হাজারের বেশি জার্মপ¬াজম ক্রিনিং করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আরো কিছুদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে আমরা বয়ে আনবো বিরাট সাফল্য। এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

প্রধান অতিথিসহ বাংলাদেশী ও কোরিয়ান গবেষকগণ সাংবাদিকদের নিয়ে নতুন উদ্ভাবিত কৃষি ফলন ও কৃষি যন্ত্রপাতি কিভাবে এর কার্যকরিতা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় তা প্রত্যক্ষ করেন।