২০১২ সালের রোস্টারভুক্ত এক হাজার ৬৬১ জন ভিসা অপেক্ষামান এবং ডিলিটকৃত প্রার্থীদের অভিলম্বে দক্ষিণ কোরিয়া পাঠিয়ে হতাশা, বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক দুর্দশা থেকে বাচানোর জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে ২০১২ সালের ইপিএস-সিবিটি উত্তীর্ণ রোস্টারভুক্ত ভিসা অপেক্ষামান ও ডিলিবকৃত কর্মীরা। এ সময় বাংলাদেশ ওভারসীজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বায়েসেল) এর সামনে মানবন্ধন শেষে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানান তারা।
সোমবার দুপুরে জাতীয় পেস ক্লাবের সামনে ইপিএস-সিবিটি উত্তীর্ণ রোস্টারভুক্ত ভিসা অপেক্ষামান ও ডিলিবকৃত কর্মীদের আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার যোগ্যতা অর্জনে প্রথমে লটারিতে বিজয়ী হয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এরপর এইচআরডি কোরিয়ার ২০০ নাম্বারের পরিক্ষাসহ মেডিকেল চেকআপে উত্তীর্ণ হয়।”
তারা বলেন, “উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়ে একটি জব রোস্টার তৈরি করে পর্যায়ক্রমে রেন্ডম পদ্ধতিতে ভিসা ইস্যু করার কথা কিন্তু ২০১৪ সঙ্গে ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে ব্যতিক্রম। এবছর ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে ৯০০টি ভিসা ইস্যু হওয়ার মধ্যে সবগুলি ভিসাই আমাদের পরে পাশ করা ২০১৩ সালের রোষ্টারভুক্ত কর্মী।”
তারা বলেন, “যদি রেন্ডম পদ্ধতিতে ভিসা ইস্যু হয় তাহলে সবগুলো ভিসা ২০১৩ সালের কেন? ২০১২ সালের রোস্টার থেকে কি অর্ধেক ভিসাও আসতে পারল না? এটা কোন ধরনের রেন্ডম পদ্ধতি?”
বক্তরা বলেন, “দুই বছর পর রোস্টার থেকে চূড়ান্ত কর্মীদের বাদ দেয়া হয় এতে আর কোরিয়া যেতে পারে না। পাঁচ মাস হলো ইতিমধ্যে ১৪০ জন কর্মী বাদ হয়ে গেছে। ১৬৬১ জন বাকি কর্মীরাও বাদ হওয়ার মতো কঠিন পরিস্থিতিতে সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সকল নিয়ম ও যোগ্যতা প্রমাণের পরও তাহলে কি আমরাও ভিসা থেকে বঞ্চিত হব?”
বক্তারা দাবি জানিয়ে আরো বলেন, “রোস্টারভুক্ত ভিসা অপেক্ষামান ও ডিলিবকৃত কর্মীদের পর্যায়ক্রমে ভিসা দেয়া হোক নয় তো নতুন নিয়োগ বন্ধ করে পূর্বের সকল কর্মীকে ভিসা দিতে হবে।” এ সময় এক হাজার ৬৬১ জন কর্মীদের হতাশা, বেকারত্ব এবং অর্থনৈতিক দুর্দশার কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীকে এগিয়ে আসার অনুরোধও করেন বক্তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন রোস্টারভুক্ত কর্মী তোফাজ্জল হোসেন, মো. হানিফ, একলাস, তারেক, রহিতসহ ভিসা অপেক্ষামান ও ডিলিবকৃত সকল কর্মী।