ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের হলুদ জামা ও কলামিস্টদের হাফ প্যান্ট পরতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।
তিনি বলেন, সম্প্রচার নীতিমালার কোন প্রয়োজন ছিল না। আর বর্তমানে যেভাবে সরকার নীতিমালা তৈরি করেছে তাতে ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের ড্রেস কোড নীতিমালাও সরকার করে দেবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) আয়োজিত ‘সম্প্রচার নীতিমালা আইন ও সম্প্রচার কমিশন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
আবুল মকসুদ বলেন, নীতিমালা ছাড়া আমাদের গণমাধ্যম এত দিন ভালই করেছে। কোথাও বলা যায় না তারা খারাপ করেছে। সাংবাদিকরা কোন মালা (নীতিমালা) ছাড়া ভালো অবস্থানে পৌঁছেছে শুধু তাদের মেধা দিয়ে। এখন (নীতি) মালা আনা হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য।
তিনি বলেন, বর্তমান রাজনীতি মধ্য দিয়ে যদি এই নীতিমালা আসে তাহলে পরবর্তিতে ড্রেস কোড নীতিমালা সাংবাদিকদের জন্য আসবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, দেশে বর্তমানে আটটি সরকারি কমিশন রয়েছে। তাদের অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলার নেই। তাহলে নীতিমালা কমিশন কী করবে তা বর্তমানে পরিষ্কার।
তিনি আরো বলেন, কমিশন কোন আইন দিতে পারবে না। তারা পারবে শুধু আইন প্রস্তাব করতে। আর তথ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রচার নীতিমালার সকল বিষয় নিয়ে কাজ করবে।
এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে দিলারা চৌধুরী বলেন, নারীদের নিরাপত্তায় পুলিশ বরাবর উদাস। তাহলে পত্রিকায় যদি নারী নির্যাতনে ‘পুলিশ উদাস’ এই সংবাদ প্রকাশ না হয় তাহলে দেশের আইন ব্যবস্থার কী পরিণতি হবে তা বুঝতে আমাদের কোন প্রকার কষ্ট হচ্ছে না।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংবাদ প্রকাশ নিয়ে এত দিন সরকারের কোন সমস্যা ছিল না। যখন নারায়ণগঞ্জের ঘটনা সম্পূর্ণ প্রকাশ হলো তখন তাদের নীতিমালা করার ব্যাপারে মাথা ব্যথা হলো।
তিনি বলেন, মিডিয়া যদি সাত খুনের ঘটনা এভাবে প্রকাশ না করতো তাহলে র্যাবের কর্মকর্তাদের এই মনোভাব সাধারণ জনগণ বুঝত না। আর আদালত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিত না, যা প্রধানমন্ত্রীকে অখুশি করেছে।
সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রহমান, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান প্রমুখ।