Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইপিএস কর্মীদের প্রায় এক চতুর্থাংশ অবৈধ হয়ে যাচ্ছে

গত পাঁচবছরে ক্রমাগত বেড়েছে কোরিয়ায় বাংলাদেশীদের অবৈধ হওয়ার প্রবণতা। কোরিয়াতে বর্তমানে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের প্রবাসীদের অধিকাংশই ইপিএস কর্মী। স্বাভাবিকভাবেই অবৈধ হওয়া বাংলাদেশীরাও প্রায় সবাই ইপিএস কর্মী।

eps-topik-kltকোরিয়ায় ইমিগ্রেশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত পাঁচ বছরে অবৈধ হয়েছেন ৯৭৯ জন। ২০১৩ আগস্ট থেকে ২০১৪ জুলাই পর্যন্ত ৩১১জন অবৈধ হয়েছেন। আগের বছর ২০১২ আগস্ট থেকে ২০১৩ জুলাই পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ২৮৬ জন। এর আগের তিন বছর এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২০১১-১২ তে ১৮৬ জন, ২০১০-১১তে ১২৪ জন এবং ২০০৯-১০এ ৭২ জন।

chardike-ad

২০০৮ সাল থেকে ইপিএসের মাধ্যমে কোরিয়ার কর্মী নিয়োগ শুরু হয়। ইপিএসের নিয়ম অনুযায়ী একজন কর্মী ৪ বছর ১০ মাস অবস্থান করতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে ইপিএসে যারা কোরিয়া এসেছেন তাদের বেশিরভাগই ফেরত যাওয়ার কথা। এই দুই বছরে ইপিএসে কোরিয়ায় এসেছিলেন প্রায় ২২৪৪ জন কর্মী। যাদের সবারই মেয়াদ শেষ এবং বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার কথা। ইমিগ্রেশন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই দুই বছরে আসা ইপিএস কর্মীদের প্রায় এক চতুর্থাংশই অবৈধভাবে কোরিয়ায় বসবাস করছে। এই দুই বছরে অবৈধ হওয়া ৫৯৭জনের প্রায় সবাই ইপিএস কর্মী।  ২০১০ সাল এবং তার পরে ইপিএসে যারা কোরিয়া এসেছে তাদের মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি।

অবৈধ হওয়ার এই প্রবণতা রোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কোটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ভিয়েতনামিজরা অতিরিক্তহারে অবৈধ হওয়ায় দুই বছরের জন্য ইপিএস কোটায় কর্মী নিয়োগ স্থগিত করেছে কোরিয়া।