Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

১২ রকমের লক্ষণ বলছে আপনি অসুস্থ!

আপনি অসুস্থ, সে বিষয়ে কখন আপনার টনক নড়ে? ডাক্তার যতক্ষণ না বড়োসড়ো কোনো রোগের নাম বলেন তার আগে নয়। সুস্থতার জন্য তখন যে যা বলছে তাই-ই করছেন কিন্তু ততক্ষণে রোগটা হয়ত অনেকটাই গেড়ে বসেছে। আপনি কতটা সুস্থ, আদৌ শরীরে কোনো রোগ বাসা বাঁধছে কিনা সেসবই কিন্তু আগাম জানা যায়।কারণ, শরীর খারাপ হওয়ার আগে আমাদের শরীরে কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে। যেগুলো আমাদের সতর্ক করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

কী সেই লক্ষ্মণ

chardike-ad

images (1)যেমন, রাতে ঘুম না আসা। রাতে ঘুমানোর আগে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল দিনের মতো ততটাো অ্যাক্টিভ থাকে না কেন জানেন? যাতে আমরা ভালো করে ঘুমিয়ে পরেরদিন আবার কাজের এনার্জি পা। যারা অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উলটো। স্ট্রেস সেলের অ্যাক্টিভিটি বেড়ে যাওয়ার ফলে তখন রাতের ঘুম পুরোটাই বরবাদের খাতায়। এবং এভাবেই আপনিও ধাপে ধাপে অসুস্থার পথে এগিয়ে চললেন

অনেকদিন পর হাইট মাপতে গিয়ে দেখলেন উচ্চতা প্রায় এক ইঞ্চি কমে গিয়েছে! অবাক হওয়ার কিচ্ছু নেই। ঠিকমতো যত্ন-আত্তি না নেওয়ার ফলে হাড় ক্ষইতে শুরু করেছে। তারই ফলে হাইট কমে যাচ্ছে। এই তো সবে শুরু। বেশি রকমের অস্টিওপোরেসিস থেকে হাড় ভেঙে যাওয়া বা কোমরে টনটনে ব্যথার মতো ঘটনা ঘটা অসম্ভব নয়

এখন বেশির ভাগ কাজই বসে। এর জন্য শারীরিক পরিশ্রম কম হয়। আর কোমর, পেট, থাই জুড়ে চর্বির পাহাড়। এখনও সাবাধান হচ্ছেন না! বাড়তি মেদ কিন্তু চট করে শরীরে নানা বিপত্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে।

শরীর জুড়ে একরাশ ক্লান্তি। ভাবছেন ভালো করে ঘুমিয়ে নিলেই আবার চাঙা হবেন। তাতেও ক্লান্তি না কাটলে বিষয়টা সত্যিই চিন্তার কারণ। অনেক সময় থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ ঠিকমতো না হলে এমন ক্লান্তি আসে। আবার অতিরিক্ত স্ট্রেস বা নার্ভাস সিস্টেম কাজ না করলেও সব সময় ক্লান্ত লাগতেই পারে।। সুতরাং অত্যধিক ক্লান্তি মোটেই হেলাফেলা করার মতো বিষয় নয়।

অত্যধিক হলুদ ইউরিনও কিন্তু বিপদের ইঙ্গিত। তার মানে শরীরে জলের অভাব ঘটেছে।। সোডা ওয়াটার, অ্যালকোহলিক বেভারেজ বা চা-কফি এ রেমিডি নয়। প্রচুর জল, ডাবের জল বা গ্রিন টি একমাত্র ডিহাইড্রেশন কমাতে পারে।

নাক ডাকাটাও কিন্তু একধরনের রোগ। এর নাম স্লিপ অ্যাপনিয়া ঘুমের মধ্যে ঠিকমতো শ্বাস-প্রশ্বাস না চললে এই সমস্যা দেখা দেয়। এবং এর থেকে হার্ট অ্যাটাক হওয়াটাও বিচিত্র নয়।

অতিরিক্ত অ্যাংজাইটি থেকে হার্টের নানা অসুখ ছাড়াও হাইপার থাইরয়েড, অ্যাড্রেনাল টিউমার, সেক্স হরমোনে ভারসান্যের অভাব ইত্যাদি হতে পারে। তাই এমনটা হলে।চিকিৎসকের মতামত নিন।

নিয়মিত বাওয়েল ক্লিয়ার না হওয়াটাও অসুখের কারণ। রোজ পেট পরিষ্কার থাকলে সহজেই খাবার হজম হয়। না হলেই গ্যাস, অম্বলের মতো ঘটনা ঘটবে।

অ্যালার্জি থেকে অল্প-স্বল্প গা-হাত-পা চুলকায়। আবার লিভারের সমস্যা থাকলেও কিন্তু গা-হাত-পা চুলকাতে পারে।

ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি জ্বর হতেই পারে। কিন্তু সর্দি-জ্বরে অতিরিক্ত ভোগা মানে শরীরে ইমিউনিটি সিস্টেম কমে যাওয়া

সারাবছর ঠোঁট ফাটা মানে শরীরে ভিটামিন বি-এর অভাব। অ্যানিমিয়া থেকেও এমনটা হতে পারে

অতিরিক্ত ব্রণ, ফুসকুড়ি অ্যালার্জি থেকে হতে পারে তেমন অতিরিক্ত অ্যাংজাইটিও এর আরেকটি কারণ।- ওয়েবসাইট।