Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হচ্ছে?

early-riseনাগরিক নির্ঘুম রাত্রিযাপনের কারণে সূর্য ওঠা দেখা হয়ে ওঠে না অনেকেরই। ঘুমের আবেশে জড়িয়ে থাকার আরাম থেকে উঠতে কারোরই মন চায় না। কিন্তু যতই মন না মানুক, শত অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিছানা থেকে উঠতে হয়। কিন্তু এই দোটানার মধ্যে থাকতে থাকতেই দেরিটা হয়েই যায়।

আর পুরো দিনটিতেই এর প্রভাব থাকে। সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা যতটা স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ, ঠিক ততোটাই মানসিক প্রশান্তির জন্য খারাপ।

chardike-ad

সকালের নির্মল হাওয়া মন ও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। তাই সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার অভ্যাস করা সকলের জন্য বেশ জরুরি। আর এই ভোরে ওঠার কষ্টকর অভ্যাসকে সহজ করার থাকছে কিছু টিপস-

নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যান:
রাতে দেরি করে ঘুমোতে গেলে ঘুম পুরো হয় না বলে ভোরে ওঠা সম্ভব হয় না। আবার একেক দিন একেক সময় রাতে ঘুমোতে গেলে ঘুমের পরিমাণ ও সময় ওলট পালট হয়ে একটি বদ অভ্যাসের সৃষ্টি হয়। তাই চেষ্টা করুন রাতে একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমোতে যাওয়ার। তবে হঠাৎ কোনও পরিবর্তনে যাবেন না। প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে এগিয়ে আনুন জাগার সময়।

উদ্বেগ নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না:
উদ্বেগ থেকেও মাঝে মাঝে ঘুম আসে না। শোওয়ার আগে ভালোভাবে মাথা, হাত পা ধুয়ে নিন। এটা আপনার চাপ অনেকটা কমিয়ে দেবে। প্রতিদিন একটি দুটি উদ্বেগের কারণ লিখুন। কখন, কোথায় উদ্বেগ বেশি হয় তা লিখে রাখুন। এগুলো থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করুন।

আপনার ব্যবহৃত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী থেকে নির্গত সামান্য আলোও আপনার ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। নীল আলো সবচেয়ে বেশি ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তাই রাতে এগুলোর ব্যবহার বুঝেশুনেই করুন।

ঘরে ভোরের আলো ঢোকার ব্যবস্থা করুন:
সকালে ঘুম থেকে ওঠা খুব সহজ কাজ নয়। তার ওপর আপনার রুম যদি হয় অন্ধকারাছন্ন তবে কাজটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ভোরের আলো কিংবা সকালের কুসুম আলো ঘরে না ঢোকার ব্যবস্থা না থাকলে রাতের আভা ঘর থেকে বের হয় না। ফলে ঘুমও কাটে না সহজে। বিছানা সরাসরি জানালার পাশে রাখার চেষ্টা করুন। যাতে সকালের আলো আপনার ঘুম ভাঙতে সাহায্য করে। ঘরে সকালের কোমল আলোয় ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে মনও ভালো হয়ে যাবে। দিনের শুরু হবে আনন্দে।

রাতে টিভি দেখা এবং নেট সার্ফিং থেকে বিরত থাকুন:
টিভি দেখা বা নেট সার্ফিং এর জন্য রাত জাগা আপাতত স্থগিত করুন। যদি মনে হয় বিছানায় গেলে ঘুম আসবে না তবু শুয়ে পড়ুন। দরকার হলে কিছুসময় গল্পের বই পড়ুন শুয়ে শুয়ে।

সকালের জন্য জরুরি কিছু প্ল্যান করুন:
অনেকেই আছেন দরকার না হলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন না। তাদের জন্য ভোরে ওঠার অভ্যাস করার একটি সহজ উপায় হচ্ছে ভোরের দিকে কোনো জরুরি কাজ করার প্ল্যান করা। কাজটির জন্য হলেও ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট একটু কম হবে। আর এভাবে কিছুদিন নিয়মিত ভোরে উঠতে পারলে তা আপনা আপনিই অভ্যাসে পরিনত হবে।

অ্যালার্ম বাজার সাথে সাথে উঠে পড়ুন:
আর একটু পরেই উঠবো। আর ৫ মিনিট ঘুমিয়ে নেই। নিজের মনকে এই জাতীয় কথা বলে আরও কিছুক্ষণ বিছানায় থাকার অভ্যাসটা ত্যাগ করুন। যত কষ্টই হোক না কেন, অ্যালার্ম ঘড়ি বেজে ওঠার সাথে সাথে বিছানা থেকে উঠে পড়ার অভ্যাস করুন। আরও কিছুক্ষণ ঘুমানোর সুযোগ থাকলেও সেটা নিয়ে চিন্তা করবেন না।

সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাবেন না:
দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার সকালের নাস্তা। সকালে কফি বা চকলেট দিয়ে আপনার নাস্তা সেরে ফেলবেন না। সকালের নাস্তা হওয়া উচিত খুব পুষ্টিকর। সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্য এটা প্রত্যক্ষ কোনো উপায় না। কিন্তু এটি সুস্থ জীবনধারা তৈরীতে সাহায্য করে।