
জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ উভয় ক্ষেত্রেই আনুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে ভোটের দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ।
রোববার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তাহের বলেন, “উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি নিয়ে আমরা একমত হয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবি, উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ, দুই ক্ষেত্রেই পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে। কারণ, গত ৫৪ বছরের নির্বাচন ব্যবস্থায় আমরা কখনোই নিশ্চিত ‘ফেয়ার ইলেকশন’ দেখিনি।”
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী সবসময় নির্বাচনের পক্ষে। ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে, তাতে আমাদের মৌলিক কোনো আপত্তি নেই। আমরা আগে থেকেই বলেছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে হতে পারে।
বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তাহের বলেন, পূর্বের নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় জনগণের শঙ্কা কাটেনি। তাই আমরা সরকারের কাছে একাধিক উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনের আগে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংস্কার ও আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি তুলেছেন তারা। “আমরা সিইসিকে বলেছি, নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁর দিক থেকে সর্বোচ্চ আন্তরিক থাকবেন। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ওপর আস্থা রাখতে চাই।”
তাহের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো অবিচারপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় না। যদি এমন কিছু হয়, জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে। কোনো দখলদারিত্বমূলক নির্বাচন মানুষ গ্রহণ করবে না।
প্রসঙ্গত, পিআর বা আনুপাতিক পদ্ধতিতে সারা দেশে প্রতিটি দলের মোট প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টন হয়।






































