
থাইল্যান্ডের বরখাস্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ মোকাবিলায় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আজ শুক্রবার আদালত রায় দেবেন, পেতংতার্নকে স্থায়ীভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হবে কি না। খবর এএফপি।
বিতর্কিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ব্যবসায়ী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্নের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুনসেনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি দেশের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ অবস্থান নেননি। ওই ফোনালাপের অডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এরপর সারাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং তাঁর অপসারণের দাবিতে আদালতে আবেদন করা হয়। গত মাসে আদালত তাঁকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় এবং বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিল। আজকের রায়েই নির্ধারিত হবে তাঁর রাজনৈতিক ভাগ্য।
এর আগে নৈতিকতার দায়ে গত বছর আদালত আগের প্রধানমন্ত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল।
কালো স্যুট পরে বৃহস্পতিবার ব্যাংককের আদালতে হাজির হন পেতংতার্ন। সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর উপদেষ্টা প্রোমিন লার্টসুরিদেজ, যিনি একই মামলায় অভিযুক্ত। প্রায় দেড় ঘণ্টা বিচারকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তারা। তবে শুনানির বিবরণ প্রকাশে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
যদি রায় তাঁর বিরুদ্ধে যায়, তবে সিনাওয়াত্রা পরিবার থেকে তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ক্ষমতাচ্যুত হবেন পেতংতার্ন। এর আগে তাঁর বাবা থাকসিন ও খালা ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল।
গত দুই দশক ধরে থাইল্যান্ডের রাজনীতি মূলত আবর্তিত হচ্ছে সেনাপ্রধান, রাজতন্ত্রপন্থি রক্ষণশীল অভিজাত গোষ্ঠী ও সিনাওয়াত্রা পরিবারকে কেন্দ্র করে। অভিজাত মহল সিনাওয়াত্রাদের দেশের প্রচলিত সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে আসছে।







































