
এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। সেই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেনে তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরদিন শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ২০২০ সালের ২ মে এবি পার্টি আত্মপ্রকাশ করে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের তিন মূলনীতি সামনে রেখে। নিবন্ধন না পেলেও দলটি কার্যক্রম চালিয়ে যায়। তবে পরবর্তীতে নিবন্ধন মেলে এবং নতুন নেতৃত্বের হাতে দলটির দায়িত্ব অর্পিত হয়।
তার দাবি, বর্তমানে এবি পার্টি ঢাকা-কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে, তৃণমূল পর্যায়ে কার্যক্রম নেই এবং দলের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য থেকেও অনেক দূরে সরে গেছে। বরং বিভিন্ন জেলার নেতারা দল ছেড়ে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে তাকে কেবল নামমাত্র উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই পার্টি যে অঙ্গীকার নিয়ে গঠিত হয়েছিল, এখন তার কিছুই নেই। তাই এবি পার্টির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেছি এবং লিখিতভাবে চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।
সোলায়মান আরও জানান, নতুন কোনো দলে নয়, তিনি ফিরছেন তার পুরনো দল জামায়াতে ইসলামীতে। এরই মধ্যে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে তার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া বাকি।
উল্লেখ্য, স্কুল জীবনেই নবম শ্রেণিতে থাকতে ১৯৬৪ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করেন এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। ১৯৭৫ সালের অক্টোবর মাসে তিনি জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশে যোগদান করেন। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে জামায়াতের রোকন হোন। ঐ বছর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত হন।
বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে ১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে সহকারী কমিশনার পদে যোগদান করেন এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী। ফেনীতে জেলা প্রশাসক থাকা অবস্থায় জয়নাল হাজারীর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক আলোচিত হন। পরে সংস্থাপনসচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হন।
২০০৭ সালে সরকারি চাকরি হতে অবসর নিয়ে পুনরায় জামায়াতে যোগদান করেন তিনি। সোলায়মান চৌধুরী জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য এবং দলের পেশাজীবীদের সংগঠন জাতীয় পেশাজীবী ফোরামের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
২০১৯ সালে জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করে ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’-এর সঙ্গে যুক্ত হন। যেটি পরে আমার বাংলাদেশ পার্টি সংক্ষেপে এবি পার্টি হিসেবে নামকরণ করা হয়। সর্বশেষ তিনি এবি পার্টি ছেড়ে আবারও জামায়াতে ইসলামীতে ফেরার ঘোষণা দিলেন।






































