সোমবার । ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক জাতীয় ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৩১ অপরাহ্ন
শেয়ার

রাজনৈতিক দলগুলোকে নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে পুলিশ


Press Wing

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ পাবে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস উইং জানায়, সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে সকল রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করা হবে। এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীগণ তাদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন-সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।

এছাড়া গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

গত শুক্রবার রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় আরও কয়েকজন নজরদারিতে আছেন বলে প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে হামলাকারী ও তার সহযোগীদের পুলিশ শনাক্ত করেছে। তাদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের চাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে।

প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য শুক্রবার রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র‍্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।

দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে প্রেস উইং জানিয়েছে।

প্রেস উইং আরও জানায়, পুলিশ ইতোমধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ভ্রমণ ইতিহাস সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে-এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে ইতোমধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে। হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে যে ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করা এবং আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তার দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন।

ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন তারা অনতিবিলম্বে তার (হাসিনা) এবং ভারতে পলাতক তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।

ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে যে শরিফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তারা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাদেরকে যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশের কাছে তাদেরকে প্রত্যর্পণ করে।