Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ব্যবসাবান্ধব দেশের তালিকায় কোরিয়া পঞ্চম

world-bankব্যবসাবান্ধব দেশের তালিকায় কোরিয়া পঞ্চম অবস্থানে। বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক জরিপ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ নামে বিশ্বব্যাংকের এ বার্ষিক জরিপ প্রতিবেদনে ১৮৯টি দেশকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সহজে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে, এ মানদণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে জরিপটি করা হয়েছে।

ব্যবসা করার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশ সিঙ্গাপুর। বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক জরিপে এ নিয়ে টানা নয় বছরের মতো দেশটির নাম উঠে এল। জরিপে যুক্তরাজ্য ও চীনের অবস্থান কিছুটা আগালেও পিছিয়ে পড়েছে জাপান। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড এবং হংকং। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য দেশ ডেনমার্ক। খবর বিবিসি ও ব্লুমবার্গ।

chardike-ad

এছাড়া যুক্তরাজ্য একধাপ এগিয়ে অষ্টম এবং যুক্তরাষ্ট্র আগের অবস্থানেই (সপ্তম) রয়েছে। ফিনল্যান্ড একধাপ নিচে নেমে নবম অবস্থানে চলে গেছে। গত বছরের তুলনায় এবারের শীর্ষ ১০-এ, এটুকুই পরিবর্তন হয়েছে। তালিকায় সবার নিচে ইরিত্রিয়া। রাশিয়া তার অবস্থান দুই ধাপ উন্নত করে ৬২তম অবস্থানে এসেছে। আর চীন ৯৩ থেকে দাঁড়িয়েছে ৯০তম অবস্থানে।

কোনো একটি ব্যবসা শুরু বা বন্ধ করতে কত সময় ব্যয় হয়, নির্মাণ অনুমোদন এবং বৃহত্তম ব্যবসায়িক শহরে করের পরিমাণ, এসব মানদণ্ডের বিচারে দেশগুলোর অবস্থান নির্ণয় করেছে বিশ্বব্যাংক। জুন পর্যন্ত ১২ মাসে বাস্তবায়িত নীতিমালাগুলো জরিপের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, এবারের তালিকাটি মোটামুটি আগের বছরের মতোই হয়েছে। শীর্ষ ২০-এ থাকা দেশগুলো তাদের ব্যবসায় নীতিমালাগত বিষয়গুলোয় অব্যাহত উন্নতি করে যাচ্ছে।

২০০৪ সাল থেকে এ বার্ষিক জরিপটি প্রকাশ করছে বিশ্বব্যাংক। এর আগে শুধু বৃহত্তম শহরগুলো ভিত্তি করেই এ তালিকা প্রণয়ন করা হতো। এবারের তালিকায় প্রথমবারের মতো ১০ কোটির উপরে জনসংখ্যা রয়েছে, এসব দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক শহরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ পরিবর্তনের ফলে চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তানসহ ১১টি দেশের অবস্থান পিছিয়ে গেছে।

১৮৯টি দেশের মধ্যে ভারত ১৪২, শ্রীলংকা ৯৯, নেপাল ১০৮, মালদ্বীপ ১১৬, ভুটান ১২৫, পাকিস্তান ১২৮ এবং বাংলাদেশ ১৭৩তম অবস্থানে রয়েছে। গত বছর ভালো পারফরম্যান্স থাকায় ভারতের অবস্থান ছিল ১৪০তম। বর্তমান ভারত সরকার দেশকে বিনিয়োগবান্ধব করার লক্ষ্যে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে এবং নিতে যাচ্ছে, তার প্রভাব   আগামী বছরের জরিপে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইন্ডিকেটরস অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের পরিচালক অগাস্টো লোপেজ-ক্লারস।

এবারের জরিপে চীনের অবস্থান তিন ধাপ উপরে উঠে ৯০তম হয়েছে। আর দুই ধাপ নিচে নেমে জাপানের অবস্থান এখন ২৯তম। সার্বিকভাবে জরিপে দেখা গেছে, ভালো চর্চা ও নীতিমালাগত সংস্কারের ফলে উন্নত এবং উদীয়মান দুই ধরনের দেশেই ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনা করা আগের তুলনায় সহজ হয়েছে। এর মধ্যে সাব সাহারা আফ্রিকার দেশগুলোও রয়েছে। যদিও ইরিত্রিয়া, মধ্য আফ্রিকা ও দক্ষিণ সুদানের মতো এ অঞ্চলের দেশগুলোর অনেকেই অব্যাহতভাবে তালিকার নিচের অবস্থানে রয়েছে। তার পরও আফ্রিকার দেশগুলোয় ব্যবসায় পরিস্থিতি উন্নত করার ক্ষেত্রে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। জরিপে দেখা গেছে, সাব সাহারা অঞ্চলের ৭০ শতাংশের বেশি দেশ কম করে হলেও একটি পরিবর্তন এনেছে।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, তালিকায় থাকা আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে ৩৯টি ব্যবসার ‘জটিলতা এবং নীতিমালাগত প্রক্রিয়ার ব্যয় কমিয়ে এনেছে। আর ৩৬টি দেশ নিজেদের আইনি প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তি বৃদ্ধি করেছে।

নিজেদের অবস্থা সবচেয়ে উন্নত করেছে মধ্য এশিয়ার এমন দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে তাজিকিস্তান। এদিক থেকে সার্বিকভাবে শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে বেনিন, টগো ও আইভরি কোস্ট।