Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিশ্ব মিডিয়ায় ‘বাংলাদেশ ব্ল্যাকআউট’

electricityস্মরণকালের ভয়াবহ বিদ্যুৎবিপর্যয়ে শনিবার থমকে গিয়েছিলো পুরো দেশ। ঠিক কী কারণে এবিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে তার সু-স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি এখনো। তবে বিদ্যুৎ বিপর্যয় কেবল দেশ নয় গুরুত্বের সঙ্গে স্থান করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও।

‘বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিসিটি ব্ল্যাকআউট আফটার পাওয়ার লাইন ফেইল’স শিরোনামে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যুক্ত জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড বিকল হয়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার দুপুর থেকে দেশটিতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

chardike-ad

‘বাংলাদেশ গ্রিপলস উয়িথ ন্যাশন ওয়াইড ব্ল্যাকআউট’ শিরোনামে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুতের জন্য লড়াই চলছে বাংলাদেশে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যুক্ত জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড বিকল হয়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঢাকার বিমানবন্দর ও হাসপাতালে জেনারেটরের মাধ্যমে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার এক বাসিন্দা জানান, এ ধরনের অবস্থা খুবই ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘‘এ সরকারে  ওপর আস্থা ছিল সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু এটা কি?’’

‘ন্যাশন ওয়াইড ব্ল্যাকআউট ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে ডন এর প্রতিবদেনে বলা হয়, বিদ্যুতের ট্রান্সমিশন লাইন ফেইল করায় পুরো অন্ধকারে ডুবে যায় বাংলাদেশ। শনিবারের এ বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেশটির কারখানাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

‘পাওয়া রিস্টোরড এস বাংলাদেশ স্ট্রাগলড টু ফিক্স গ্রিড’ শিরোনামে এবিসি নিউজ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৭ সাইক্লোনের আঘাতের কারণে এ ধরনের বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন থাকে বেশ কয়েক ঘন্টার জন্য। দেশটিতে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য পুরাতন গ্রিড পদ্ধতি ও দুর্বল ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করা হয়।

‘ব্ল্যাক আউট হিটস বাংলাদেশ এজ পাওয়ার লাইন ফ্রম ইন্ডিয়া ফেইলস’ শিরোনামে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের সরবরাহ লাইন বিকল হয়ে পড়ায় সারা বাংলাদেশের বিদ্যুৎব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। ভারত থেকে আমদানিকৃত ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য দেশটির কুষ্টিয়া জেলার বহরমপুরে স্থাপিত সাবস্টেশনটি শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিকল হয় বলে জানিয়েছে দেশটির বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।