Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

“ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে”

turin afrozমানবতাবিরোধী অপরাধে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ ঘোষিত হওয়ায় ৭১ সালের ভুক্তোভুগিরা ন্যয় বিচার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। রায় সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আইনজীবী তুরিন আফরোজ বলেন, ‘এই রায় সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসর্গ করছি।’

ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মীর কাসেমের বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগের মধ্যে দুটিতে অভিযোগে ফাঁসির রায় দিয়েছেন। রায়ে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামে মীর কাসেমের নেতৃত্বে মানুষ ধরে এনে নির্যাতন করার পর হত্যা করে নদীতে মরদেহ ফেলে দেওয়া হতো।

chardike-ad

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে আলবদর বাহিনী গঠন করে মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের ধরে এনে নির্যাতন করে নদীতে ফেলে দিয়েছেন মীর কাসেম। এ রায়ের মাধ্যমে জাতির দায়মুক্তি হলো বলে জানান জেয়াদ আল মামুন। ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, ১৯৭১ সালে মীর কাসেম আল-বদর বাহিনী গঠন করে নির্যাতন ক্যাম্পকে নির্যাতন ক্যাম্প বানিয়ে মানুষ হত্যা করতো।তিনি বলেন, আমরা প্রশিকিউশন থেকে এই রায়ে খুশি।

বাকি অভিযোগে ফাঁসি না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করবে কিনা জানতে চাইলে তুরিন আফরোজ বলেন, আপিল করবো কিনা তা সম্মিলিতভাবে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-এর চেয়ারম্যান ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্য ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা মীর কাসেমের বিরুদ্ধে আনীত ১৪টি অভিযোগের বিরুদ্ধে দুটি (১১ ও ১২তম অভিযোগ) অভিযোগে ফাঁসির রায় দিয়েছেন।

যে দুটি অভিযোগে মীর কাসেম আলীর ফাঁসির

১১তম অভিযোগ, শহীদ জসিম উদ্দিনসহ ছয়জনকে অপহরণের পর নির্যাতন। এতে জসিমসহ পাঁচজন নিহত হন এবং পরে তাদের লাশ গুম করা হয়।

১২তম অভিযোগ, অপহরণ করে নির্যাতন করা হয় জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ তিনজনকে। এতে দুজন নিহত হন এবং গুম করা হয় তাদের লাশ।