‘মেট্রোরেল আইন-২০১৪’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প রাজধানীর যানজট নিরসন ও যাত্রী পরিবহন সমস্যার সমাধানে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। মেট্রোরেলে থাকবে ১৬টি স্টেশন। উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে শুরু হয়ে মেট্রোরেল বাংলাদেশ ব্যাংকে এসে শেষ হবে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।
এ আইনের অধীনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ হবে ‘ঢাকা ম্যাস ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড’র নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল এ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে আইনে। এ বিধানের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
খসড়া আইনে মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ, পরিদর্শক নিয়োগের বিধান, আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
মোশাররাফ হোসাইন বলেন, ভাড়া নির্ধারণের জন্য একটি উপ-কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে খসড়া আইনে। লাইসেন্স ছাড়া মেট্রোরেল পরিচালনা করা, অনুমোদন ছাড়া মালিকানা হস্তান্তর, চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে, বিনা টিকেটে ভ্রমণ করা, নিরাপত্তা বিঘ্নিত করলে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে। সর্বোচ্চ শাস্তির মধ্যে রয়েছে ১০ বছর কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা জরিমানা। লাইসেন্স ছাড়া মেট্রোরেল পরিচালনা করলে এ শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।