এ ধরনের একটি মহৎ উদ্যেগে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং এলাকাবাসীরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নুরজাহান রুপা জানান “ আমরা খুবই খুশি। বাচ্চারা এখন পানি খেতে পারে। শুধু স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরাই নয় এলাকাবাসী ও পাশের মসজিদ থেকেও পানি নিতে আসে এখানে”। এই ধরনের মহৎ উদ্যোগ বাংলাদেশের বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা নিলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ সুবিধা অনেক বাড়ত বলেও জানান তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ং ইল এলিমেনটারি বিদ্যালয়ের মায়েরা বাচ্চাদের এই ব্যাপারে উৎসাহিত করে। মানুষকে কিভাবে সাহায্য করা যায় সে ব্যাপারে বাচ্চাদের শেখানোই চাঠাখারপাড়া রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্থ দানের উদ্দেশ্য বলে জানালেন ইয়ং ইল এলিমেনটারি বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর মা মিসেস জাং জি ইয়াং। ইয়ংইল এলিমেনটারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বন্ধুরা গত বছর ইউনিসেফে অর্থ দান করেছিল। এবছর দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংহি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সাথে ইয়ংইল এলিমেনটারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিচয় হয়। বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বন্ধুটির কাছ থেকে তারা স্কুলটির কথা জানতে পারে। এরপরেই ইয়ংইল স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের এই স্কুলকে সহায়তার প্রস্তাব দেয়। ভবিষ্যতে দুই স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ এবং সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান ইয়ংইল স্কুলের অভিভাবকরা।