Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

শ্রীলঙ্কা হোয়াইটওয়াশ, র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ভারত

virat-kohli

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর জায়গা দখলের সুযোগ গাণিতিকভাবে দুই দলেরই সমান ছিল। ৫ ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলেই শীর্ষে উঠা যাবে- হিসাবটা ছিল এমনই। তবে হলফ করে বলা যায়, সিরিজ শুরুর আগে ধোনির পরিবর্তে ভারতের অধিনায়কত্ব পাওয়া বিরাট কোহলিও শ্রীলঙ্কাকে ধবল ধোলাইয়ের কথা ভাবতে পারেননি। হোম সিরিজে ক্রিকেটীয় অনিশ্চয়তা তাই বিরাট কোহলির ভাগ্যে বর হিসেবেই খেটেছে।

chardike-ad

তার প্রমাণ, রোববার রাঁচিতে শেষ ম্যাচে দুই অধিনায়কই খেলেছেন সমান ১৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। কিন্তু জয়ী হয়েছেনে শেষপর্যন্ত বিরাট কোহলিই।

কোহলি জয় পেলেন আর ম্যাথিউস পেলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। তব ধবলধোলাইয়ের লজ্জা কি আর ম্যাচসেরার ব্যক্তিগত পুরস্কারে ঢাকা যায়? তাই বলাই যায় ম্যাথিউস ভালো, কোহলি আরও ভালো।

এ জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এলো ভারত।

রান তাড়া করতে গিয়ে কোহলির করা ১৪ নম্বর সেঞ্চুরিতে ৮ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হাতে রেখে লঙ্কানদের বেঁধে দেওয়া ২৮৭ রানে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। সবমিলিয়ে এটি কোহলির ২১তম ওডিআই শতক। এর ১৪টি তিনি করেছেন প্রতিপক্ষের ছুড়ে দেওয়া লক্ষ্যে পৌঁছুতে; যার মধ্যে ১৩টি পেরেছে দলের জয় ছিনিয়ে আনতে।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কান সিংহরা। একপর্যায়ে ১২৩ রানেই ৫ উইকেট হারায় তারা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন লঙ্কান দলপতি ম্যাথিউস। ১৪.৪ ওভারে চান্ডিমাল আউট হওয়ার পর ৫ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসেন ম্যাথিউস। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে অপরাজিত থাকেন ১৩৯ রানে। তার ১১৬ বলে খেলা তার এ ইনিংসে ছিল চার ছিল ৬টি, আর ছক্কা ১০টি।

বাকিদের মধ্যে লাহিরু থিরিমান্নের ৫২ এবং তিলকরত্নে দিলশানের ৩৫ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে লঙ্কার স্কোরবার্ডে ওঠে ২৮৬/৮ রান। ধবল কুলকার্নি ৫৭/৩, অক্ষয় প্যাটেল ৪৫ এবং রবিচন্দ্র অশ্বিন ৫৬ রান দিয়ে পান ২টি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে ১৪ রানেই দুই ওপেনার রাহানে ও রোহিতকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে ভারত। তবে কোহলির অমন জ্বলে উঠার দিনে সেই চাপ বেশিক্ষণ চেপে থাকেনি। রাইডুর সঙ্গে ৩য় উইকেট জুটিতে ভারত ক্যাপ্টেন তুলেন ১৩৬ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৯ রান করে আউট হন রাইডু। একপর্যায়ে ২৩১ রানে ৭ উইকেট হারালেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়েন ক্যাপ্টেন কোহলি। তার ১২৬ বলের ইনিংসটি ছিল ১২ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো।

৭৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন অজন্তা মেন্ডিস। সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন কোহলি।