Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রাজধানীতে বাসের নয় গুণ প্রাইভেট কার

parlamentঢাকা মহানগরীতে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৮ লাখ ৫৩ হাজার ৩০৪। এর মধ্যে বাস ২১ হাজার ৬১৬টি, মিনিবাস নয় হাজার ৯০৪টি, প্রাইভেট কার দুই লাখ তিন হাজার ৩৩টি, মোটরসাইকেল তিন লাখ ৩১ হাজার ৭৪৬টি এবং অন্যান্য যানবহন দুই লাখ ৮৭ হাজার পাঁচটি।

সংখ্যার হিসেবে রাজধানীর রাস্তার বাসের চেয়ে প্রাইভেট কারের (মোটরকার) সংখ্যা নয় গুণের বেশি (৯.৩৯ গুণ) এবং মোট বাস ও মিনিবাসের সংখ্যার চেয়ে ছয় গুণের বেশি (৬.৪৪ গুণ)।

chardike-ad

মঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের তারকা চিহ্নত প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংসদকে এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, “বিআরটিএতে শুধু বৈধ যানবাহনেরই হিসাব রয়েছে। অবৈধ যানবহনের কোনো পরিসংখ্যান নেই। ঢাকা মহানগরীতে রিকশার নিবন্ধন ঢাকা সিটি করপোরেশন দিয়ে থাকে। তবে ঢাকা মহানগরীতে যাতে অবৈধ যানবহন চলাচল করতে না পারে সে জন্য নিয়মিতভাবে বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসনের সহায়তার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়ে থাকে।”

ফেনী-২ আসনের সংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, বর্তমানে বিআরটিসির বহরে বিভিন্ন মডেলের মোট এক হাজার ৫২৯টি বাস রয়েছে।

মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী, বিআরটিসির মোট ৫০টি ভলভো বাসের মধ্যে ৪৯টি বাসই অচল। সচল রয়েছে মাত্র একটি। কোরিয়ান দাইয়্যু কোম্পানির ২৫৩টি বাসের মধ্যে সচল ২১৯টি, অচল ৩৪টি। চায়না সিএনজি কোম্পানির ২৪৫টি বাসের মধ্যে সচল ১২৪টি, অচল ১২১টি। টিসি ও টাটার ৪৩৪টি বাসের মধ্যে সচল ২৩৪টি, অচল ২০০টি। আর্টিকুলেটেড ৫০টি বাসের মধ্যে ৪৭টি সচল ও তিনটি অচল। ৮৮টি অশোক লিল্যান্ড এসি বাসের মধ্যে সচল ৮৪টি, অচল ৪টি এবং একই কোম্পানির অন্য ৪০৯টি বাসের মধ্যে সচল ৩৪১টি এবং অচল ৬৮টি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “মোট ৪৭৯টি অচল বাসের মধ্যে ২৯৭টি মেরামতযোগ্য। এসব বাসের মধ্যে সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানায় (আইসিডব্লিউএস) ১২টি চায়না বাস এবং এই সংস্থার ১৫টি ডিপোতে ৫৭টি বাস মোট ৬৯টি বাস মেরামতাধীন। পর্যায়ক্রমে আরো বাস মেরামত করে সচল করা হবে।”

মহিলা আসন ২৮-এর সদস্য বেগম আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর এক  প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে জানান, জাতীয় মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৮১২ দশমিক ৭৮ কি.মি. এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ২৪৬ দশমিক ৯৭ কি.মি..।

গত সাত দিনে সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে
মাহজাবিন মোরশেদের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “গত সাত দিনে বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত মোট ৬৫০১টি মামলা করা হয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে ৬৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা, বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ৩৬ জনকে। ফিটনেস না থাকায় মোট ১১৭টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে।”

মন্ত্রী জানান, অভিযান পরিচালনার ফলে গত সাত দিনে সড়ক দুর্ঘটনা যথেষ্ট কমেছে। এক সপ্তাহে দুর্ঘটনা ঘটেছে মাত্র ১৩টি, যেখানে প্রতিদিনই ঘটত ১৩টি করে। দুর্ঘটনা না কমা পর্যন্ত এমন অভিযান চলবে বলে জানান মন্ত্রী।

এ কে এম মাইদুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “সড়ক সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যান চলাচলের জন্য সারা বছরই সড়ক সংস্কারের কাজ করা হয়। তবে বর্ষা মৌসুমে সড়কের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয় বলে ওই সময় সংস্কারের কাজ বেশি হয়।”

নুরজাহান বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে দূরপাল্লার ১২১টি রুটে ২৬৭টি বিআরটিসি বাস চলাচল করছে।”

মো. জিয়াউল হক মৃধার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নিরাপদ সড়ক নিশ্চত করার লক্ষ্যে জাতীয় মহাসড়কের ১৪৪টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহৃত করা হয়েছে। এ জন্য সরকারি অর্থায়নে ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ইমপ্রুভমেন্ট অব রোড সেফটি অ্যাট ব্লাক স্পট ইন ন্যাশনাল হাইওয়ে’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৪০টি ব্লাক স্পটের মধ্যে ৩৩টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এ প্রকল্পে। বাকি সাতটি সড়ক পরিবহণ রক্ষণাবেক্ষণ সওজ-এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।