Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘দ. কোরিয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবে বাংলাদেশ’

south-korea

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, শিল্প ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত কার্যকর করে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবে বাংলাদেশ।

chardike-ad

মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ‘কোরিয়ান ডেভেলপমেন্ট এক্সপেরিয়েন্স: লেসন ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন। কোরিয়ান এম্বাসি বাংলাদেশ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া একমাত্র দেশ যারা সবচেয়ে দ্রুত জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ানো ও অবকাঠামো উন্নয়নের সাহায্যে মধ্যম আয়ের দেশে ও পরবর্তীতে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। তাই মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে কোরিয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর কোরিয়া ৫ কোটি মানুষ নিয়ে মাত্র ৪০ বছরের ব্যবধানে মাথাপিছু আয় ৫০ ডলার থেকে ২ হাজার ডলারে উন্নীত করেছে। বর্তমানে তাদের মাথাপিছু আয় ২০ হাজার মার্কিন ডলার। তাদের জিডিপি ৮০০ বিলিয়ন ডলার। কারিগরি ও শিল্পান্নেয়নের মাধ্যমেই এত দ্রুত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়নে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে স্থিতিশীল সরকার। স্বাধীনতার পর প্রায় ৯ কোটি মানুষ নিয়ে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হলেও রাজনৈতিক ভুলের কারণে তা সঠিকভাবে আগায়নি। তবে ১৯৯১ সালে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হওয়ার মাধ্যমে আমাদের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে সব দেশে আমাদের পণ্যের শুল্ক মুক্ত প্রবেশাধিকার খুবই জরুরি। বাংলাদেশ কৃষি ও শিল্প খাতে শ্রম শক্তির অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছাকাছি রয়েছে। তাই তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে আমাদের সমস্যা হবে না।

বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সব সময় দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছি আমরা। বেসরকারি খাতে ইপিজেড স্থাপনে তারাই প্রথম এগিয়ে আসে। ২০০০ সালে ইপিজেডের উন্নয়নসহ নানা সুবিধা দেয় তৎকালীন সরকার। তবে পরবর্তী সরকার তা বাতিল করায় কোরিয়ার বিনিয়োগ কিছুটা থমকে দাঁড়ায়।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত এইচ.লি. ইয়েন ইয়িন ইয়ং প্রমুখ।