নতুন বছরের প্রথম সূর্য উঠবে কাল। মহাকালের চিরন্তন গতি প্রবাহে বিগত হয়ে গেলো আরো একটি বছর। শুরু হবে ইংরেজি নতুন বছর-২০১৫। মধ্য রাতের আঁধার ঠেলে চোখ ধাঁধাবে আতশবাজির ঝলকানি। বর্ষবরণের আরো কত শত আয়োজন নিয়ে মেতে উঠবে অগুনতি তরুণ-তরুণী, শিশু। রাত ১২টা ১ মিনিটে শুরু হবে ইংরেজি নববর্ষ বরণের আলোকোজ্জ্বল উৎসব। বিদায় ২০১৪! স্বাগতম ২০১৫! হ্যাপি নিউ ইয়ার!
২০১৪’র বিদায়টা সুখকর হলো না। আবারও হরতাল, প্রাণহানি। বছরের শুরুটাও তেমন স্বস্তির ছিলো না। বিদায়টাও নন। তবে মাঝের সময়টা কেটেছে ভালোই।
গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বছরের বেশ কিছুটা সময় গেছে নানা উদ্বেগে। যুদ্ধাপরাধিদের বিচারকে কেন্দ্র করে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা হয়েছে।
সেদিক থেকে আমরা নতুন আশায় বুক বাঁধব। যদিও শঙ্কা নতুন করে ঘর বাধছে। রাজনৈতিক ময়দান আবারও উত্তাল হচ্ছে। যদিও শেষ মুহুর্তে আমাদের শিশু কিশোরদের প্রকাশিত ফল অভিভাবকদের জন্য আনন্দ বয়ে এনেছে। আমাদের জন্য সৌভাগ্যের পসরা নিয়ে আসুক ২০১৫।
কী সুন্দর ভাবেই না এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ব্যক্তির চেষ্টায় কিংবা সরকার, ব্যক্তিগত উদ্যোগ, বেসরকারি সংগঠন, প্রবাসী শ্রমিকদের অবদান, তৈরি পোশাক খাতের কর্মী, আর কৃষক সাধারণ মানুষের নানামুখী তৎপরতায় ‘ইমার্জিং টাইগার’ বাংলাদেশের এগিয়ে চলার তারিফ করছিল পৃথিবী।
পরিস্থিতি যাই হোক সূর্য উঠবে। লাঙল কাঁধে কিংবা পাওয়ার টিলার নিয়ে কৃষক ক্ষেতে যাবেন এবং এবার ফসলের দাম পাননি বলেই তিনি ২০১৫-তে চাষ করবেন না, তা নয়। কারখানায় যাবেন আমাদের পোশাক কন্যারা। কাজ করে যাবেন পেশাজীবী। প্রবাসীও কষ্টার্জিত আয় দেশে পাঠাবেন। সাধারণ মানুষের উদ্যোগেই আবারও আলোকিত কর্মমুখর দিন ফিরে আসবে সামনের বছরে, নিশ্চয়ই।