Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রবৃদ্ধি কমলেও সুউচ্চ ভবন বাড়ছে চীনে

china buildingচীনের প্রবৃদ্ধির হার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলেও দেশটিতে সুউচ্চ ভবনের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ২০১৪ সালে সারা বিশ্বের মধ্যে চীনে সুউচ্চ ভবনের সংখ্যা নতুন রেকর্ড গড়েছে। গত বছর দেশটিতে ন্যূনতম ২০০ মিটার উচ্চতার ৫৮ ভবন নির্মিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিট্যাট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

সংস্থাটির দেয়া তথ্যমতে, এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফিলিপাইন। তবে চীনের সাথে তাদের পার্থক্য বিস্তর। গত বছর দেশটিতে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ হয়েছে মাত্র পাঁচটি।

chardike-ad

চলতি বছর এক্ষেত্রে চীন আরও এগিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে চীনের সর্বোচ্চ ভবন দি সাংহাই টাওয়ারের। এটি হবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভবন। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্মাণ কাজ চলছে এ ভবনের। এছাড়া কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে আরও ১০৬টি ভবনের।

চীন সরকারের প্রকাশ করা দালিলিক প্রমাণ অনুযায়ী, ২০১৪ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধি ছিল সাত দশমিক চার শতাংশ, যা প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধির চেয়ে কিছুটা কম। বিশেষজ্ঞরা এর জন্য দেশটির সুউচ্চ অবকাঠামো নির্মাণকে দায়ী করেছেন। কারণ সাংহাই টাওয়ারের মতো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকার উচ্চহারে ভর্তুকি দিয়ে আসছে।

এ প্রসঙ্গে আরবান ল্যান্ড ইনস্টিটিউটের নির্বাহী প্রধান জন ফিট্জজেরাল্ড বলেন, ‘চীনের বেশিরভাগ প্রদেশ ও শহরের প্রশাসকরাই সুউচ্চ ভবন নির্মাণের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। তারা মূলত বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্যই এমনটা করছেন। তাদের ভাবনা, এসব প্রথম শ্রেণীর ভবন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বেশি আকর্ষণ করবে। এর ফলে বৃদ্ধি পাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। আর এমনটা ভাবা অমূলকও নয়।’ উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বেইজিংয়ের নিকটবর্তী তিয়ানজিন শহরের কথা। গত বছরে শুধু এই শহরটিতেই তৈরি করা হয়েছে ২০০ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন ছয়টি ভবন। মূলত নিউইয়র্কের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই এটি করা হয়েছে।

চীনের অধিক সংখ্যায় সুউচ্চ ভবন নির্মাণের পেছনে আরেকটি কারণ হলো গ্রামাঞ্চলের অধিবাসীদের শহরমুখী স্রোত। এদের বাসস্থান ও কর্মসংস্থানের জন্যও ভবন নির্মাণ তাই জরুরি হয়ে পড়েছে।

তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানাচ্ছে, চীনে যে গতিতে ভবন নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে, সেই হারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাড়ছে না। ফলে তৈরিকৃত অনেক ভবন শূন্য থাকার আশঙ্কাও তাই উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। ‘এমন গতিতে যখন ভবন নির্মাণ হতে থাকবে, তখন চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এটি সাময়িক। কিছুদিনের মধ্যেই এই অচলাবস্থা কেটে যাবে বলে মনে করি আমি’, বলেছেন ফিট্জজেরাল্ড।

রিয়েল এস্টেট খাতে চীনের এই রমরমা পরিস্থিতি তাই স্বাভাবিকভাবেই আকর্ষণ করেছে বিশ্বের বিখ্যাত স্থাপত্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এগুলোর মধ্যে আছে স্কিডমোর, ওয়িংস অ্যান্ড মেরিল এলএলপি, কন পেডারসন ফক্স অ্যাসোসিয়েটসসহ বিভিন্ন কোম্পানি। এ কারণে চীনে একটি অফিস রাখাই কোম্পানিগুলোর জন্য অবশ্য কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। [তথ্যসূত্র: ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস]