কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, “মাইট্যা মন্ত্রীরা বলে যে, যারা আলোচনার কথা বলে, তারা দেশের শত্রু। আমি তো বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনার কথা বলিনি। আমি বলেছি, প্রয়োজনে আপনাকে চাড়ালের সাথেও আলোচনা করা লাগতে পারে। কারণ আপনি প্রধানমন্ত্রী।”
তিনি বলেন, “আপনি মাইট্যা পুলিশ পাঠাবেন না। আমি নামাজ পড়তে গেছি আর আমার তাঁবু, বসবার চৌকি সব পুলিশ নিয়ে গেছে। এ রকম জালিম সিমারও ছিল না। আফামণি, পারলে আমারে নিয়া যাইতেন। ভয় দেখাবেন না। আমার সব ভয় কেটে গেছে।”
কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, “এই যে গাড়িতে পেট্রলবোমা মারা হয়, তা বিএনপি-আওয়ামী লীগ। সরকারের লোক গোপনে বোমা মেরে বিএনপির দোষ চাপায়। আর সঠিক নেতৃত্ব নাই বইল্যা বিএনপির লোকজন গাড়িতে বোমা মারে, গাড়িতে আগুন দেয়। মনে করে এটা করে তারা জিতব।”
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ইনু ভাই কথা বললে শরীরটা চিড় চিড় করে। তার গণবাহিনী ছিল মানুষ মারা বাহিনী। ওই বাহিনীর নেতা যদি আইনশৃঙ্খলার কথা বলে, তাহলে মানুষ মানব?”
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে যখন যা কিছু চেয়েছি, পেয়েছি। আজকে আল্লাহর কাছে দেশে শান্তি চাই। আমার মেয়েকে না দেখে থাকতে পারি না। তাকেও ১১ দিন দেখতে পারিনি। তার পরও বইন (প্রধানমন্ত্রী) আমার কথা শুনবেন না?’
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আপনি ভারতের জোরে নাচেন? আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলতে চাই, পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়ে আমরা ভারতের দাসত্ব চাই না। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, দাসত্ব চাই না।”
তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমারও কিছু সম্পর্ক আছে। চিন্তা করতেছি, কালকে থেকে বাংলাদেশে যা হইতেছে তা নিয়ে ভারতের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলব। বলব, বাংলাদেশে তো আপনাদের সম্মান চুরমার হয়ে যাচ্ছে। কী কথা হয়েছে তিন/চার দিন পরে সেটা জানাব।”
‘এখন কোনো সংলাপ হবে না’ সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন মন্তব্যের বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘মামাগো তোমাকে কত কোলে নিছি। তোমার মাকে সৎ পরামর্শ দাও।”
তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “ভাইসতা, তোমার বাবা বড় ভালো মানুষ ছিলেন। লন্ডনে থাইক্যা বাবা তুমি এমন কথা বোলো না। আমরা মুক্তিযোদ্ধা হইয়া মতিঝিলে চিটপট্যাং হইয়া শুইয়া রইছি। আর তুমি বঙ্গবন্ধুকে বলো রাজাকার। সে যদি রাজাকার হয়, তাহলে তোমার বাবা মহারাজাকার। যা বলে লাভ নাই, তা বলে ক্ষতি কইরো না। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্ধু, বাংলাদেশের বন্ধু, বিশ্বেরও বন্ধু ছিল।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের শওকত হোসেন নিলু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।