Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চলতি বছরে বৈধ জনশক্তি রফতানির সংখ্যা ৯২ লাখ

man-power

চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ৯১ লাখ ৭১ হাজার ১৩৯ জন জনশক্তি গমন করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এর মধ্যে সৌদি আরবে ২৬ লাখ ৪০ হাজার ৫৩৮ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৩ লাখ ২৯ হাজার ৫৫৫ জন কর্মী বৈধভাবে গমন করেছেন বলে জানান তিনি।

chardike-ad

মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের সুকুমার রঞ্জন ঘোষের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, জনশক্তি গ্রহণকারী কোন দেশে বিদেশী কর্মীর সংখ্যা অধিক হয়ে গেলে সে দেশ বিদেশী কর্মীদের ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করে থাকে। সে কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে বাংলাদেশসহ শ্রমিক প্রেরণকারী দেশসমূহের জন্য সংখ্যাগত দিক থেকে কিছুটা স্যাচুরেটেড হয়েছে। তবে শ্রম বাজার বন্ধ হয়েছে বলার সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, গত বছর মধ্যপ্রাচ্যে দেশসমূহে উলে­খযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি জনশক্তি গমন করেছে। বর্তমান সরকারের অব্যাহত শ্রম কূটনৈতিক তৎপরতা এবং ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরকালে সৌদি বাদশাহ’র সাথে ব্যক্তিগত আলোচনা এবং সর্বশেষ চলতি বছরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর সফরের প্রেক্ষিতে সৌদি আরবের শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, শিগগিরই নামমাত্র ব্যয়ে সৌদি আরবে বাংলাদেুশি জনশক্তি প্রেরণ শুরু করা সম্ভব হবে। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশসমূহে চাহিদা অনুযায়ী যোগ্যতাসম্পন্ন সকল পেশার বাংলাদেশি জনশক্তির মন উন্মুক্ত থাকবে।

সরকারি দলের ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার আমলে বিশ্বের ১৬০টি দেশে দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি প্রেরণ করা হয়েছে। বিগত জোট সরকারের আমলে এ সংখ্যা ছিল ৯৭টি।

সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নেয়া নানাবিধ বান্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে নারী অভিভাসনের হার ১৭ দশমিক ৮ ভাগে উন্নীত হয়েছে। ২০০৯ সালের আগে এ সংখ্যা ছিল মাত্র শতকরা ৩ ভাগ।

এছাড়া সরকারি দলের সদস্য মো. আবদুল্লাহ’র এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিএমইটির ছাড়পত্র নিয়ে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ইউরোপীয় দেশগুলোতে ৬৫ হাজার ৫৩৬ জন কর্মী গেছেন। যার মধ্যে যুক্তরাজ্যে ১০ হাজার ৬৬ ও ইতালিতে ৫৫ হাজার ৪৭০ জন কর্মী এবং বেলারুশে গেছেন ১ হাজার ৯৯ জন কর্মী।