আজ ২১ মার্চ টুইটারের জন্মদিন। এবারের জন্মদিনে নয় বছরে পা দিল জনপ্রিয় এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি। জন্মদিনটা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ভাগ করেই কাটাতে চায় টুইটার। টুইটিং-হ্যাশট্যাগকে বিখ্যাত করার জন্য সব ব্যবহারকারীকে ব্লগের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছে টুইটার।
শুধু সেলিব্রিটিদের ‘ফলো’ করাই নয়, বর্তমানে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের মাধ্যম হয়ে উঠেছে টুইটার, যার কৃতিত্ব ব্যবহারকারীদেরই দিয়েছেন সাইটটির চিফ কমিউনিকেশন অফিসার গ্যাব্রিয়েল স্ট্রাইকার। শুধু তাই নয়, টুইটার সম্পর্কে অনেকেই জানেন না এমন বেশ কিছু তথ্যও ফাঁস করেছেন গ্যাব্রিয়েল।
টুইটারের প্রধান কার্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোয়। এ ছাড়াও, টেক্সাসের সান অ্যান্টোনিও এবং ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে টুইটারের সার্ভার ও কার্যালয় রয়েছে। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে টুইটারের যাত্রা শুরু হয়। তবে ২০০৬ এর জুলাই মাসে জ্যাক ডরসে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। টুইটারকে ইন্টারনেটের এসএমএস বলে ‘উইকিপিডিয়া’।
টুইটারে প্রথম টুইটটি করেছিলেন সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসে। তার হ্যান্ডেল নেম ছিল ‘জ্যাক’। লিখেছিলেন ‘জাস্ট সেটিং আপ টুইটার’। মজার ব্যাপার হল, সেই সময় ‘Twitter’ নামটাই ছিল না। মাইক্রো ব্লগিং সাইটটির নাম ছিল ‘twttr’।
টুইটারে প্রথম হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছিলেন ক্রিস মেসিনা। মঙ্গলে বরফ খুঁজে পাওয়ার প্রথম খবরটি ব্রেক হয়েছিল টুইটারে, করেছিলেন নাসার মার্স ফোনেক্স। পাকিস্তানে ওসামার লুকোনো ঘাঁটিতে মার্কিন সেনার হানার খবরটিও প্রথম টুইটারেই ফাঁস হয়। দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পর বারাক ওবামার প্রথম টুইটটি সে বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুইট হয়েছিল। অস্কারের মঞ্চে এলিন ডিজেনার্সের সেলফির টুইটটি টুইটারের জনপ্রিয়তম সেলফি। চার্লি হেবডোয় জঙ্গি হানার খবরটিও প্রথম টুইটারে ব্রেক হয়। এরকম আরও বহু ঘটনার সাক্ষী টুইটার। তাই শুভ জন্মদিন, টুইটার।