Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ টাইগারদের

Masrafi

১৬ বছরের অপেক্ষার জয় দিয়ে শুরু। এরপর সিরিজ জয়। বাড়তে থাকে প্রত্যাশা। আর ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণে আত্মবিশ্বাসী টাইগারদের সাবলীল খেলা। সব মিলিয়ে টাইগারদের অসাধারণ এক ক্রিকেট সিরিজ দেখল জাতি। অপ্রতিরোধ্য আজ (বুধবার) বাংলাদেশ দল। থামাবার শক্তি যেন নেই কারো।

chardike-ad

সেই বিশ্বকাপ থেকে শুরু। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। এরপর মিরপুর স্টেডিয়াম। এর আগে এতোটা ধারাবাহিক সাফল্য বাংলাদেশের মানুষ আর দেখিনি।

বুধবার ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তান দলের দেওয়া ২৫১ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে টাইগাররা। এর আগে টসে জিতে পাকিস্তান দল ২৫০ রান সংগ্রহ করে। বিনিময়ে সবকটি উইকেট হারাতে হয় তাদের। বোলিং এবং ফিল্ডিং দিয়ে পুরো সময়টা বলা যায় চাপে রাখা হয় পাকিস্তানকে। যদিও সর্তক থেকে খেলার চেষ্টা করে তারা।

তবে জবাবে ব্যাট হাতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ দল ২২ ওভারে করে ১৪৫। এরপর জুনায়েদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে চলে যেতে হয় তামিম ইকবালকে।

তামিম ৬৪ রানে সাজঘরে ফেরেন। এর আগে টানা দুই ম্যাচে শতক করেন তিনি। প্রত্যাশা ছিলো, বাংলাদেশ দলের হয়ে নতুন রেকর্ড গড়বে। এর আগে টানা দুই শতকের পর শাহরিয়ার নাফীস তৃতীয় ম্যাচে ৬৭ রান করেছেন। তামিম তা অল্পের জন্য পারলেন না।

তামিমের পর আসেন মাহমুদুল্লাহ। তবে সৌম্যকে সঙ্গ দিতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৪ রানে বিদায় নেন তিনি। কিন্তু সৌম্য সরকার ঝড়ো ব্যাটিং যেন চালিয়ে যেতে থাকেন। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বেসামাল হয়ে পড়েন পাকিরা। মাত্র ৯৪ বলেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।

সৌম্য সরকার আর তামিমের রানে ভর করে সঠিক পথে থাকে বাংলাদেশ। এর পর সাবেক ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ও উইকেট রক্ষক মুশফিকুর রহিম এবং সোম্য সরকারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় স্বপ্নের বন্দরে। ২৫১ রান করতে খেলতে হয় ৩৯ ওভার ৩ বল। ফলে ৮ উইকেট থাকতে জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।