পাকিস্তান আসন্ন রমজান মাসে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের ওপর একমাস মেয়াদী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে আইনজীবীদের দাবি অনুযায়ী অপরাধ সংঘঠনের সময় কিশোর ছিলো এমন এক মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি আপাতত রেহাই পেলো।
বুধবার পাকিস্তান আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করে। অভিযোগ রয়েছে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে নির্যাতনের মাধ্যমে খুনের অপরাধ স্বীকার করানো হয়। এ ছাড়া শাফকাত হোসাইন নামে এক ব্যক্তির আপিল আবেদন নাকচ করা হয়েছে। ২০০৪ সালে সাত বছর বয়সী এক শিশু হত্যার দায়ে শাফকাতের ফাঁসির আদেশ হয়েছে।
সিদ্ধু প্রদেশের কারা মহাপরিদর্শক নুসরাত মাঙ্গান বলেন, ‘সিয়াম সাধনার মাস রজমানে কাউকে ফাঁসি না দেয়া একটি ঐতিহ্য। কর্তৃপক্ষ এ বছরও এ ঐতিহ্য বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফাঁসি দিতে হলে আমাদের দুই সপ্তাহ আগেই মৃত্যু পরোয়ানা চাইতে হয়। সুতরাং শাফকাতের ফাঁসি কার্যকর হবে অন্তত এক মাস পরে।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাও রমজানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ রাখার নির্দেশ সম্বলিত একটি প্রজ্ঞাপন জারির কথা নিশ্চিত করেন।