Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কাকতালীয় ব্যাপার!

bangladeshপরিসংখ্যান কখনো কখনো অদ্ভুত সব ব্যাপার-স্যাপার ঘটিয়ে ফেলে। বলা ভালো,সেটিকে আমাদের দৃষ্টি ফেরাতে বাধ্য করে। এই মুহূর্তে পরিসংখ্যান যেমন বলছে, ‘১৫০’ সংখ্যাটি বাংলাদেশের জন্য খুবই পয়মন্ত। বাংলাদেশের পাঁচজন খেলোয়াড় ১৫০টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে এক খেলোয়াড় বাদ দিয়ে বাকি চার খেলোয়াড়েরই ১৫০তম ওয়ানডেতে জিতেছে বাংলাদেশ!

বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথম ১৫০তম ম্যাচ খেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এরপর এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাকিব আল হাসান, আবদুর রাজ্জাক, মাশরাফি বিন মুর্তজা আর মুশফিকুর রহিম। এর মধ্যে আশরাফুল আর মাশরাফি এশিয়া একাদশের হয়েও খেলেছেন।
আশরাফুলের ১৫০তম ম্যাচটি ছিল ২০০৯ সালের অক্টোবরে, ঢাকা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।

chardike-ad

আশরাফুল ৬৩ রানের ইনিংস খেলে তাতে বড় ভূমিকাও রেখেছিলেন। মাশরাফির ১৫০তম ওয়ানডে ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে গত সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি। স্লো ওভার রেটের দায়ে নিষিদ্ধ থাকায় সিরিজের প্রথম ম্যাচটি খেলতে পারেননি। ৭ উইকেটের দাপুটে জয় দিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। বল হাতে খুব একটা ভালো না করলেও ৪৪ রান করা হারিস সোহেলকে ফিরতি ক্যাচে ফিরিয়েছিলেন।

ওই সিরিজের শেষ ম্যাচে সাকিব তাঁর ১৫০তম ওয়ানডেটি খেলেন। এবার আরও দাপুটে, ৮ উইকেটের জয়। পাকিস্তানকে প্রথমবার বাংলাওয়াশের স্বাদ উপহার দেওয়া। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে সৌম্য সরকার ম্যাচ সেরা হলেও ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন সাকিব। ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পাওয়া গত ম্যাচটি ছিল মুশফিকের ১৫০তম ওয়ানডে। ব্যাট হাতে ১৪ করেছেন। টানা দুই ওভারে দুইটি ক্যাচও ফেলেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুশফিক ম্যাচটি শেষ করেছেন উইকেটের পেছনে ৫টি ক্যাচ নিয়ে, যার তিনটিই ছিল দুর্দান্ত। প্রথম দুটো ক্যাচ ফেলার স্মৃতি ভুলিয়ে দেওয়া।

এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো উইকেটরক্ষক পাঁচটি ক্যাচ নিলেন ওয়ানডেতে। শুধু তা-ই নয়, ক্যাচ-স্টাম্পিং মিলিয়ে এক ম্যাচের সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ডটিও ছুঁলেন। আগের যে রেকর্ডটি ছিল খালেদ মাসুদের। নয় বছর আগে নাইরোবিতে স্বাগতিক কেনিয়ার বিপক্ষে ৫টি ডিসমিসাল করেছিলেন মাসুদ। তিনটি ক্যাচ, দুটি স্টাম্পিং।

প্রত্যেকে জয় পেয়েছেন। কোনো না কোনোভাবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দিয়ে স্মরণীয় করেও রেখেছেন সেই ম্যাচটি। একমাত্র অভাগা আবদুর রাজ্জাক। গত এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন রাজ্জাক। প্রথমে ব্যাট করে এনামুলের সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩২৬ রানও তুলেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচটি মাত্র ১ বল আর ৩ উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় পাকিস্তান। এও কি পরিসংখ্যানের রসিকতা!

আরও দুটো মিল দেখুন। ২০০৫ সালের ১৮ জুন কার্ডিফে পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নতুন যুগের পথে এক কদম এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ঠিক দশ বছর পর সেই ১৮ জুন ভারতের বিপক্ষে জিতে বাংলাদেশ ঘোষণা করল, নতুন যুগ শুরু হয়েই গেছে। সংশয়বাদীরা এবার চুপ করো!

বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছে ৭৯ রানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচটাও জিতেছিল ৭৯ রানেই!
মিলের মেলামেলি চলতেই থাকুক না!