Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘আমি আর রাজনৈতিক ব্যক্তি নই’

latif siddiq
ফাইল ছবি

সংসদ সদস্য পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা সাবেক ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে বহিষ্কার করেছে। দলের এ সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি, তাই আমি আর রাজনৈতিক ব্যক্তি নই।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) শূন্য আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবে আমি এবং আমার অনুসারীরা তার পক্ষেই কাজ করব।

chardike-ad

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার নিজ জেলা টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়ায় হযরত শাহানশাহ আদম কাস্মিরীর মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তার ভাই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার ভাই নেই, বাবা নেই, মা নেই, বোন নেই, জনগণই আমার সব। ব্যক্তি লতিফ সিদ্দিকীর অনেক কিছু আছে। কিন্তু রাজনৈতিক লতিফ সিদ্দিকীর জনগণ ছাড়া কিছু নেই। আমি এখন ব্যক্তি লতিফ সিদ্দিকী হয়ে গেছি। কারণ দল আমাকে বহিষ্কার করেছে। সুতরাং আমি আর রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তি নই, রাজনৈতিক কোনো কথা বলব না।

এদিকে বহিষ্কৃত সাবেক এ মন্ত্রীর পেছনে সরকারি বা প্রসাশনিক কোনো প্রটোকল না থাকলেও কালিহাতী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নুরন্নবী সরকার, এলেঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ খান, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুস সালাম, কালিহাতীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ কয়েকশ নেতাকর্মী ও অনুসারীরা জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।

তবে এসময় দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগ বা তার অঙ্গসংগঠনের কোনো নেতাকর্মীকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামায়াত নিয়ে কটূক্তি করেন তখনকার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী। পরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে মোট ২৭টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ১৭ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে সরকার মন্ত্রিসভা থেকে তাকে অপসারণ করে। আওয়ামী লীগও তাকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্যপদ ধেকে বহিষ্কার করে।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে ভারত হয়ে দেশে ফেরেন লতিফ সিদ্দিকী। ২৫ নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠিয়ে দেন। কারাগার থেকে বেরিয়ে বেশ কিছু দিন আত্মগোপনে থাকার পর সম্প্রতি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।