অনলাইন প্রতিবেদক, ১৯ মে ২০১৩:
কোরিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বলছে দেশটিতে মৃত্যুর ১ নম্বর কারণ এখন ক্যান্সার। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন এন্ড ডেভেলেপমেন্ট (ওইসিডি) কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপের বরাত দিয়ে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১০ সালে প্রতি এক লক্ষ কোরিয়ানের মধ্যে ১৯৩ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ওইসিডি’র ৩৪টি সদস্য দেশে পরিচালিত জরিপে একই বছর ক্যান্সারে মৃত্যুর গড় হার ছিল প্রতি লাখে ২১১.৬ জন।
উল্লেখিত সনে কোরিয়ায় ফুসুফুসের ক্যান্সারে মারা যান প্রতি লাখে ৪৩.১ জন, ওইসিডির সদস্য দেশসমূহে যার গড় হার ছিল লাখ প্রতি ৪১.১ জন।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে ২০০৮ সালে বিশ্বজুড়ে ক্যান্সারে মৃতের সংখ্যা ছিল ৭৬ লক্ষ যা ওই বছর মোট মৃতের সংখ্যার ১৩ শতাংশ।
করোনারি হৃদরোগ এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা দক্ষিণ কোরিয়ায় স্বাভাবিক মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১০ সালে এসব সমস্যায় মৃতের সংখ্যা ছিল প্রতি লাখে ১৮৫.৮ জন। ওই বছর নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যায় কোরিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন প্রতি লাখে ৬৭.৫ জন যা দেশটিতে মৃত্যুর তৃতীয় বৃহত্তম কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। ২০১০ সালে প্রতি লাখে ৩৩.৫ জন কোরিয়ান আত্মহননের পথ বেছে নেয়।
জরিপ প্রতিবেদন অনুসারে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতি এক হাজার জনের বিপরীতে কর্তব্যরত চিকিৎসক আছেন মাত্র ২ জন, ওইসিডি’র সদস্য দেশসমূহে এই সংখ্যা গড়ে ৩.১ জন।