Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিবিসি-সিএনএন রাবিশ, সত্য প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম বিটিভি

Mizanurবিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দুটি সংবাদমাধ্যমকে ‘রাবিশ’ (আবর্জনা) বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।

একই সঙ্গে তিনি সরকার নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ টেলিভিশন-বিটিভিকে সত্য প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম বলেও দাবি করেছেন।

chardike-ad

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই) আয়োজিত ‘শিশু সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকতার নীতিমালা শীর্ষক’ সেমিনারে সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, টাইমস ম্যাগাজিনের সম্পাদক ফরিদ হোসেন এবং এমআরডিআই’র নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর।

ড. মিজানুর রহমান বলেন, সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা বিবিসি, সিএনএন থেকে আমাদের শিখতে হবে না। আমাদের দেশের মাটি থেকে উদ্ধৃত নীতি নৈতিকতা দিয়ে নীতিমালা করতে হবে। আমাদের সমাজ, দেশের প্রেক্ষাপটে নীতিমালা হতে হবে।

গণমাধ্যমের সমালোচনা করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, গণমাধ্যমের মালিক যদি ব্যক্তি পর্যায়ের কেউ হয়, তাহলে তো মালিকের কথাই শুনতে হবে। মালিকের স্বার্থ কোনটায় রক্ষা হবে, কোনটায় হবে না সেটা মেনেই সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করতে হয়। সেজন্য কিছু কিছু জিনিস রাষ্ট্র মালিকানাধীন থাকা দরকার। যেমন বিটিভি থাকতে হয়, থাকতে হবে।

মিজানুর বলেন, সত্যকে প্রকাশ করার জন্য বিটিভিই একমাত্র মাধ্যম। বাংলাদেশ বর্তমানে সুস্থ ধারার সাংবাদিকতার সর্বত্তোম পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, সবকিছুতেই রাজনীতি হচ্ছে। সৌরভকে গুলি করার পর সব গণমাধ্যমে প্রচার করা হলো— আওয়ামী লীগের এমপি গুলি করেছে, এটা কি জরুরি ছিল। নাকি অপরাধীকে অপরাধীর পরিচয়ে প্রচার করার দরকার ছিল। যেভাবে প্রচার ও প্রকাশ করা হয়েছে তাতে মনে হয়েছে আওয়ামী লীগই গুলি করতে বলেছে।

তাই প্রচারের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কোনো দল নয়, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই পরিচয় করতে হবে। এর মধ্যে একটি রাজনীতি নিহিত আছে বলে মনে হয়।

সুত্রঃ আরটিএনএন