সবার আগে স্কুলে যায় সে। আবার স্কুল থেকে বেরও হয় সবার পরে। শিক্ষকদের প্রিয় ছাত্রও সে। ক্লাসে কোনো দুষ্টোমিও করে না। সব সময় প্রথম হয় সে। তার নাম অ্যারন অ্যান্ডারসন।
ব্রিটেনের একটি ছোট্ট দ্বীপের কমিউনিটি স্কুলের ছাত্র সে। আর সে তার স্কুলের একমাত্র ছাত্র!
আউট স্কেরিসের ছোট্ট এই স্কটিশ দ্বীপটি মাত্র দুই শ’ বর্গ মাইলের। এখানে বসবাস করে মাত্র ৭০ জন লোক।
অ্যারনের বয়স ১০ বছর। ওর সম-বয়সী কেউ নেই। তাই প্রাইমারি স্কুলের একমাত্র ছাত্র-ই সে। এর আগে ওর বড় দুই ভাই ইভান (১৩) ও ওয়েন (১৬) এবং তাদের দুই বন্ধু ইথান (১২) ও স্কট (১৬) এই স্কুলের ছাত্র ছিল। কিন্তু তারা প্রাইমারির পাঠ চুকিয়ে এখন সেকেন্ডারি স্কুলে ভর্তি হয়েছেন।
দ্বীপের বাইরে বোডিংয়ে থেকে একটি স্কুলে পড়াশোনা করছে তারা। সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া বাড়িতে আসতে পারে না। তাই পুরো সপ্তাহ অ্যারনকে কাটাতে হয় একা একাই।
অ্যারনের বাবা ইওয়ান (৪৩) পেশায় একজন জেলে। পুরো দিনই তার কাটে সমুদ্রে জাল ফেলে। আর ওর মা ডেনিস (৪৬) দমকলকর্মী। এছাড়া দ্বীপের দোকান ও অভিবাবক-শিক্ষক কাউন্সিলের প্রধান।
তিনি বলেন, অ্যারনের জন্য আমার খুব খারাপ লাগে। একা একা ক্লাস করে। তবে ও কিন্তু খুব মজা পায়।
একই কথা বলল অ্যারন, ‘ভাবলে অস্বাভাবিক লাগবে যে আমার স্কুলে একমাত্র ছাত্র আমিই কিন্তু আমি এই দ্বীপটিকে খুব ভালোবাসি। আমি সাইকেলে চড়ে পুরো দ্বীপ ঘুরে বেড়াই। সমুদ্রে ঝাপাঝাপি করি। খুব ভালো লাগে আমার।’
সূত্র : ডেইলি মেইল