Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দুর্দান্ত জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু ক্ষুদে টাইগারদের

bangladesh-juniorএমনটা কিন্তু আশাই ছিল টাইগার ক্রিকেটভক্তদের মনে। ঘরের মাঠে; এমনকি দক্ষিণ-আফ্রিকার মাটিতেও যেভাবে প্রতিপক্ষকে পর্যদুস্ত করেছিলো এই ক্ষুদে টাইগাররা, তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বিপক্ষে জয়ের আনন্দটা এভাবে প্রকাশ করাটা একটু অবাক করারই মতো। কিন্তু এই দুই জয়ের মাঝের সময়টা এই ক্ষুদে বাঘদের জন্য ছিল বেশ হতাশাজনক। তাই হতাশা উড়ানো এই জয়ের এমন আনন্দটা উপভোগ করা যেতেই পারে। কেন না, ভারতের মাটিতে দুঃখজনক সিরিজ হারেই টাইগারদের মনোবলে ঘটেছিল ছন্দপতন।

আর এই ছন্দটাই ফিরিয়ে আনতে ঠিক যে রকম জয় দরকার ছিল, ঠিক সে রকম জয়ই পেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবদলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি জিতল ৮ উইকেট আর ১৭৭ বল হাতে রেখেই। ৫০ ওভারের ম্যাচ জিততে বাংলাদেশকে খরচ করতে হয়েছে মাত্র ২০ ওভার​ তিন বল।

chardike-ad

২৭ জানুয়ারি থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরু হবার কথা থাকলেও, একটু আগে ভাগেই বাংলাদেশে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটি। মূল টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশের সাথে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলাই এর কারণ। সোমবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার সকালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রথম এবং দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণ সংগ্রহ করে ক্যারিবীয়ান যুবারা। তবে এর পরপরই দলের প্রধান শক্তি স্পিনারদের আক্রমণে আনেন টাইগার অধিনায়ক মিরাজ। আর তাতেই ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি তারা। মূলত স্পিনার দাপটেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ক্যারিবীয়ানরা।

সালেহ আহমেদ শাওন গাজীর সঙ্গে সঞ্জিত সাহা এবং সাঈদ সরকারের বোলিং তোপে ৩৯.২ ওভারে মাত্র ১১৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গিড্রন পোপ। ৪১ বল খেলে ২টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি।

বাংলাদেশের পক্ষে ২৪ রানে ৪টি উইকেট নেন দিনের সেরা বোলার শাওন গাজী। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন সাঈদ এবং সঞ্জিত। তবে এই দুই স্পিনার উইকেট দুটি করে পেলেও রান দেয়ার ক্ষেত্রে ছিলেন ভীষণ মিতব্যয়ী। ৯ ওভার বল করে মাত্র ৯ রান দেন সাঈদ। আর সঞ্জিত ৮ ওভার বল করে ১৪ রান দেন ।

১১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে একটু ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় মাত্র ৮ রানেই পিনাক ঘোষকে হারায় বাংলাদেশ। তবে জয়রাজ শেখকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা দারুণ ভাবে সামলে নেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান।
দলীয় ৪৬ রানে জয়রাজ ২য় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলেও নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন সাইফ। ৭০ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে দলকে মাত্র ২০.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন শান্ত। টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট করে মাত্র ৩৬ বলে এই রান করতে ৬টি চার এবং ১টি ছক্কা মারেন তিনি। এছাড়া একপ্রান্ত আগলে রেখে ৬৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে সাইফ করেন ৩৯ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ১টি করে উইকেট নেন স্মিথ এবং ম্যাককয়।
দুর্দান্ত স্পিনে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের মাত্র ১১৪ রানে আটকানোর পথে ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরষ্কার পান সালেহ।

উল্লেখ্য ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের ২য় ম্যাচটি হবে ১৩ জানুয়ারি মিরপুরে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অ-১৯ : ৩৯.২ ওভারে ১১৪ (পোপ ৩১, স্টুয়ার্ট ৩০, হেটমায়ার ১৬; সালেহ আহমদ ৪/২৪, সাইদ ২/৯, সঞ্জিত ২/১৪ )
বাংলাদেশ অ-১৯ : ২০.৩ ওভারে ১১৬/২ (নাজমুল ৪১*, সাইফ ৩৯*, জয়রাজ ১৮; স্মিথ ১/২৩)

ফল : বাংলাদেশ অ-১৯ দল ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : সালেহ আহমদ।