Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ধনী দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে সবার উপরে কোরিয়া

অনলাইন প্রতিবেদক, ১৬ জুলাই ২০১৩:

দক্ষিণ কোরিয়ায় স্নাতক ও মাধ্যমিক ডিপ্লোমা সনদধারীর সংখ্যা ধনীদেশগুলোর সংস্থা ওইসিডি (ইকোনোমিক কোঅপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট) এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী। গত মাসে প্রকাশিত এক জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এ নিয়ে টানা পাঁচবার দক্ষিণ কোরিয়া এই জরিপের শীর্ষস্থান দখলে রাখলো। অর্থনীতিতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ৪২ টি দেশের উপর এ জরিপ চালানো হয়।

chardike-ad

nzFInoSnSJjTJcqOHhkEজরিপের তথ্য অনুসারে, ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার ২৫-৩৪ বছর বয়সীদের ৯৮ শতাংশই মাধ্যমিক স্কুল পাস ছিলেন। আর ৬৪ শতাংশের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সনদ ছিল।

এছাড়া ২৫-৬৪ বছর বয়সী কোরিয়ানদের মধ্যে ৮১ শতাংশ স্কুল পাশ ও ৪০ শতাংশ স্নাতক পাশ যা কিনা ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোর গড় হার যথাক্রমে ৭৫ ও ৩২ শতাংশ থেকে বেশী।

টানা পাঁচ বছর শীর্ষ অবস্থানটি ধরে রাখতে দক্ষিণ কোরিয়াকে অবশ্য যথেষ্ট ব্যয় করতে হয়েছে। কোরিয়ান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বার্ষিক টিউশন ফী গড়ে ৫,৩৯৫ ইউএস ডলার যা ২৫ টি দেশের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ। এক্ষেত্রে কোরিয়ার আগে থাকা দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে আয়ারল্যান্ড (৬,৪৫০ ইউএসডি), চিলি (৫,৮৮৫ ইউএসডি) ও যুক্তরাষ্ট্র (৫,৪০২ ইউএসডি)।

এছাড়া কোরিয়ার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহেও পড়ার খরচ যুক্তরাষ্ট্র, স্লোভেনিয়া আর অস্ট্রেলিয়ার পরপরই।

জরিপে দেখা গেছে, ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরিয়া দেশটির মোট জাতীয় উৎপাদনের ৭.৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করেছে যা ওইসিডির দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এক্ষেত্রে ডেনমার্ক (৮ শতাংশ) প্রথম ও আইসল্যান্ড (৭.৭ শতাংশ) দ্বিতীয়। তবে শিক্ষাখাতে বেসরকারি বিনিয়োগে দক্ষিণ কোরিয়া টানা তেরো বছর ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। ২০১০ সালে এ পরিমাণ ছিল কোরিয়ার মোট জাতীয় উৎপাদনের ২.৮ শতাংশ যা ওইসিডির গড় পরিমাণ ০.৯ শতাংশের তিন গুনেরও বেশী।

কোরিয়ায় পড়াশুনার উচ্চমূল্যের ব্যাপারে জনসচেতনতা ক্রমেই বাড়ছে। জনমতের চাপেই কোরিয়া সরকার আরও অধিক পরিমানে স্কলারশিপের ব্যবস্থা ও টিউশন ফির বার্ষিক বৃদ্ধি সর্বোচ্চ ৪.৭ শতাংশের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে। ২০১২ সালেও টিউশন ফির বার্ষিক বৃদ্ধিসীমা ৫ শতাংশ ছিল।

প্রেসিডেন্ট পার্ক গুন হের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে রয়েছে টিউশন ফী ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি বছরের মধ্যেই ৩০ শতাংশ আয় সীমার নীচে থাকা সকল শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।