দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান বলেছেন প্রবাসে প্রত্যেক বাংলাদেশী নাগরিকই একেকজন রাষ্ট্রদূত। ফলে এক বাংলাদেশী কোন ভাল কাজ করলে যেমন তার সুনামের চেয়ে একজন বাংলাদেশীর সুনাম করা হয় ঠিক তেমনিভাবে কেউ খারাপ কাজ করলে পুরো বদনাম হয় বাংলাদেশের। এইজন্য সবার এই বিষয় মাথায় রেখে প্রবাসে কাজ করা উচিত। তিনি আরো বলেন কোরিয়াতে আরো বেশি করে বাংলাদেশী নিয়োগের পথে মূল বাধা অবৈধ হয়ে যাওয়া এবং রিফুজি ভিসা নিয়ে থেকে যাওয়া। এইসব কমাতে পারলে আস্তে আস্তে কোরিয়াতে বাংলাদেশীর হার বাড়তে থাকবে। গত রবিবার ইপিএস স্পোর্টস এন্ড ওয়েলফেয়ার অর্গনাইজেশন আয়োজিত ঈদ পূনর্মিলনী এবং কোরিয়ায় নবাগতদের এক সংবর্ধনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
উইজংবু স্টেশন আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেট কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দূতাবাসের প্রথব সচিব জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, কাউন্সিলর রুহুল আমিন, বিসিকের সাবেক সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক রানা, বিসিকের নির্বাহী সদস্য হাসিবুল কবির, পংকজ দত্ত, মির সজল, আনোয়ার হোসেন, ইমরান হোসেন, জুয়েল আহমেদ, মিজানুর রহমান জাহিদ, মোরশেদ আহসান এবং আল আমিন মৃধা।
অনুষ্ঠানে কোরিয়ায় নবাগতদের উদ্বুদ্ধ করতে তিনটি দিকনির্দেশনা এবং অনুপ্রেরণামূলক আলোচনা রাখেন কনকুক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মোহাম্মদ আল আমিন, বাংলা টেলিগ্রাফের সম্পাদক সরওয়ার কামাল এবং সজীব দাস।
এর আগে ইসোর পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেরদৌস আলম টিটু। পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আমান উল্লাহ আমান ও আইয়ুব আলী মন্ডল। সমাপনী বক্তব্যে ইসোর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ জানান ইসোর আহবায়ক ইজাজুল হক ইজাজ।
কোরিয়ায় নবাগতদের উপহার দিয়ে বরণ করে নেন রাষ্ট্রদূত এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং কোরিয়া প্রবাসীদের সমন্বিত সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়া (বিসিকে)। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল বাংলাভিশন এবং বাংলা টেলিগ্রাফ। স্পন্সর হিসেবে সহায়তা করেছে হ্যাপিস্টার ট্রাভেলস, আল মাইয়িদা মুসলিম ফুড, প্রাইম ট্রাভেলস, এম এস ট্রাভেলস এবং জাফরান রেস্টুরেন্ট।