Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন ও ভারত?

chine-warship (1)
এশিয়ার দুই পরাশক্তি চীন এবং ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক দিন দিন দা-কুমড়ায় পরিণত হচ্ছে। বিতর্কিত সীমান্ত এলাকা বারোহোতি-তে কয়েকদফা শক্তির প্রদর্শনও করেছে দুই দেশ। এবার ভারতের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন ভারতীয় নৌ বাহিনীকে। এর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপি তার দেশের সশস্ত্র বাহিনী পিপল’স লিবারেশন আর্মিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দেন।

দুই দেশের এবং যুদ্ধাংদেহী অবস্থান নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে আন্তর্জাতিক বিশ্বে। তবে মজার ব্যাপার হলো চীন বা ভারতের কেউই বলেনি কার সঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তবে যে অবস্থা চলছে তাতে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে এশিয়ার এই দুই পরাশক্তি তাদের একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভারতের গোয়েন্দা খবর অনুযায়ি, ইতোমধ্যে তাদের দেশের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে চীনা গোয়েন্দা বিমান। আর চীনের প্রেসিডেন্ট আর ভারতের নৌসেনা প্রধানের এমন বক্তব্যে বিশেষ তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। আশংকা করছেন মহাযুদ্ধের।

chardike-ad

জানা যায়, নৌসেনার ওয়েস্টার্ন কম্যান্ডের কাজকর্ম পর্যবেক্ষণে মুম্বাই গিয়েছেন অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা। সেখানেই বাহিনীর উদ্দেশে নৌসেনা প্রধান বলেন, ‘ভারতের জলসীমার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভারতীয় নৌসেনাকে সব সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন এবং নৌসেনার যুদ্ধবিমানগুলি সর্বক্ষণ যুদ্ধের জন্য তৈরি রাখতে হবে।’ অ্যাডমিরাল লানবা ৩১ মে নৌসেনা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। ভারতের জলসীমান্তের প্রহরীদের যে বার্তা তিনি দিলেন তা নিয়ে কূটনীতিকদের মধ্যেও শুরু হয়েছে আলোচনা।

জানা যায়, চীনা প্রেসিডেন্ট কয়েক দিন আগে নিজের দেশের সেনাকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছিলেন। তার পর ভারতীয় নৌসেনা প্রধানের তার বাহিনীর প্রতি এমন বার্তাকে কাকতালীয় মনে করছেন না কূটনীতিক এবং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তবে অ্যাডমিরাল লানবা বলেছেন, ‘দেশের জলসীমান্তকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখতে এবং ভারত মহাসাগরে দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।’ তিনি কৌশলে চীনের নাম উচ্চারণ করেননি।

লানবা আরো বলেছেন, ‘চোরাকারবার, মাদক পাচার, সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং জলদস্যুদের রুখতেও নৌসেনাকে সতর্ক থাকতে হবে।’ তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘কোনও দেশের নাম করে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়াটা কোন ফ্যাক্টর নয়। তারা মনে করছেন, চিনা প্রেসিডেন্টও নিজের বাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তার জবাবে আর ভারতের নৌসেনা প্রধানও পরিস্থিতির মোকাবিলায় তার বাহিনীকে প্রস্তুত হতে বলেছেন। অনেক বিশ্লেষক আবার বলছেন, ‘দুইদেশ শক্তির প্রদর্শন করতে ব্যস্ত। আপাততো যুদ্ধের আশংকা নেই। তবে তারা নিজেদের মতো করে প্রস্তুিতি নিচ্ছে। এটা নিশ্চিত।’